
হজযাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা না হলে ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দেবে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ। বিমান ভাড়া কমানো এবং হজ প্যাকেজ থেকে সব ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করে ভর্তুকি দিয়ে হলেও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে আগামী সোমবারের মধ্যে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণ করার দাবিতে আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ২০ মার্চের মধ্যে যদি এ বিষয়ে সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয় তবে আগামী বুধবার প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, হজ পালনে অস্বাভাবিক ও অতিরঞ্জিত খরচ নির্ধারণ করে অমানবিক প্যাকেজ ঘোষণা এবং কোরবানির সময়ে পশুর চামড়ার মূল্য কমিয়ে সরকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মকর্ম পালনে কৌশলে নিরুৎসাহিত করছে।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, সরকারের উদাসীনতা, অবহেলা এবং দুর্নীতিবাজ ও মুনাফাখোরদের নিয়ন্ত্রণহীন আধিপত্যে মুসলিম প্রধান স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ধর্ম পালন করা দিন দিন কঠিন থেকে কঠিন হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা সরকারের প্রধান কর্তব্য থাকলেও তারা সে কর্তব্য পালনে বছরের পর বছর ব্যর্থ হয়ে মিডিয়ার সামনে আওয়াজ দিয়ে যাচ্ছে। বাস্তবে তাদের কোনো কর্মতৎপরতা আছে বলে মনে হয় না।
তিনি আরও বলেন, হজের খরচ কমিয়ে প্যাকেজ ঘোষণা করা সরকারের দায়িত্ব হলেও তা না করে সিন্ডিকেটের সদস্যদের লাভবান করতে সাধারণ ধর্মপ্রাণ হজযাত্রীদের কষ্টের জমানো অর্থ দিয়ে বিমানের লোকসান কাটিয়ে লাভবান করতে প্রায় ১ লাখ টাকা বিমান ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। যে ক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার কথা সেক্ষেত্রে ভ্যাট ট্যাক্স আরোপ করে অমানবিক হজ প্যাকেজ ঘোষণার মাধ্যমে সরকার মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। কোরবানির সময়ে পশুর চামড়ার মূল্য কমিয়ে গরিবের হক নষ্ট করে অমানবিক কাজ করে যাচ্ছে।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদুজ্জামান মোল্লা, মো. আবু শোয়াইব খান, মো. আবদুল কুদ্দুস, মো. আবদুর রাজ্জাক, মুফতি মুজিবুর রহমান, মো. শফিকুল ইসলাম বিশ্বাস ও মুফতি ইসহাক মোহাম্মদ আল আমিন।