
রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১-এ। ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শাহজাহান শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ঘটনাস্থলের বেজমেন্ট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। পরে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে পাঠায়।
ফায়ার ফাইটার সেতাব আলী জানান, বেলা ১২টার দিকে ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের সিঁড়ির নিচ থেকে মরদেটি উদ্ধার করা হয়। পরে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। হাসপাতালে মরদেহ শনাক্ত করেন তার বড় ভাই তানভীর হাসান সোহাগ।
নিহত স্বপনের বড় ভাই তানভীর হাসান সোহাগ জানান, মরদেহের এক পাশের চেহারা দেখেই আমি শনাক্ত করেছি। এটা আমার ছোট ভাই মেহেদি হাসান স্বপন (৪০)। সে ওই ভবনের বাংলাদেশ স্যানিটারির ম্যানেজার ছিল। বর্তমানে এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রোকেয়া বেগম মুনমুনকে নিয়ে রামপুরা টিভি সেন্টার রোডে থাকত। আমাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার পশ্চিম এনায়েতপুর গ্রামে। ছয় বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে স্বপন ছিল ছোট।
গত মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের সাততলা ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এ পর্যন্ত ২১ জন মারা গেছেন।
বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, রাজউক ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটি পরিদর্শন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।