
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে গতকাল (বুধবার) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সেটির মহড়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপিপন্থি সাংবাদিক নেতারা। তারা অভিযোগ করেন, সরকার রাষ্ট্রের অর্গানগুলোকে ধ্বংস করেছে। দেশকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এ কথা বলেন তারা।
সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্বপালনরত সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে, একাংশ) উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কদমফুল ফোয়ারা, তোপখানা রোড এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে প্রেস ক্লাবে এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, নির্যাতিত নাগরিকরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আশ্রয় চায়। আজ সুপ্রিম কোর্টও নিরাপদ নয়। সেখানে সাংবাদিকদের নির্বিচারে পেটানো হচ্ছে। আইনজীবীরা মার খাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট আর মানুষের ভরসাস্থল থাকছে না। সাংবাদিকরা আজ অসহায়। দেশের নাগরিকরা আজ অসহায়। সমাবেশ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার অভিযোগ এনে পদত্যাগ দাবি করা হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএফইউজের একাংশের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার ও সিনিয়র সাংবাদিক আবু সালেহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি বাছির জামাল, রাশেদুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ বেগম পলি, সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, মহসিন হোসাইন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, দপ্তর সম্পাদক ডিএম অমর, রফিক লিটন, জেসমিন জুঁই বক্তব্য দেন।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, সুপ্রিম কোর্টে গতকাল (বুধবার) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মহড়া হয়ে গেল। আগামী জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে সেটি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন থেকেই অনুমেয়। মানুষের শেষ ভরসাস্থল আদালতেও আজ মানুষের নিরাপত্তা নেই। আদালতপাড়ায় আজ আইনজীবীদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের নির্মমভাবে পেটানো হচ্ছে।
এমএ আজিজ বলেন, দেশে আজ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চলছে। গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। ব্যাপক দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম এবং সরকারের গণবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যাতে কোনো আন্দোলন গড়ে উঠতে না পারে, তার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে। এই আইন সাংবাদিকতাকে শেষ করে দিয়েছে।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকরা কোনো পক্ষ নয়, তারা শুধু সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। কিন্তু গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচয়পত্র, মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও তাদের টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়, যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।
তিনি বলেন, বিরোধী মতের আইনজীবীদের ওপর হামলা এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ছবি ও নিউজ যাতে সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্য পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে।
কাদের গনি চৌধুরী এ হামলার ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দাবি করেন।