সচিবালয়ের নতুন ২০ তলা ভবন নির্মাণকাজ শেষের পথে

সচিবালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।
সচিবালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।ছবি : সংগৃহীত

পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত আছে। প্রকল্পের আওতায় দুটি বেইজমেন্টসহ ২০ তলা সুপার স্ট্রাকচার বিশিষ্ট অফিস ভবন, বহিঃস্থ স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাদিসহ সীমানা প্রাচীর, গেট, সেন্ট্রি বক্স ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।

আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হলে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

চুক্তি বাতিলের পর একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ২০২০ সালের ২২ জুলাই ঠিকাদার সম্পাদিত কাজের পরিমাপ করা হয়। এতে জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডে সম্পাদিত কাজের মূল্য ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ‘বাংলাদেশ সচিবালয়ে ২০ তলা বিশিষ্ট নতুন অফিস ভবন নির্মাণ’ কাজের ডব্লিউ-২(এ) লটের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়।

বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়। বাংলাদেশ সচিবালয়ে মোট ১০টি ভবন রয়েছে, যার ৮টি-ই স্বাধীনতার আগে নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮টি টিন-শেড একতলা ভবনেও সচিবালয়ের অভ্যন্তরের বিভিন্ন দফতরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর প্রশাসনে মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা মেটাতে ১৯৯১ সালে একটি ২১ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বহুলাংশে বেড়েছে এবং সরকারি যন্ত্রের সেবামুখী প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, বিদেশি প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাসহ সাধারণ জনগণ তাদের নিজ নিজ প্রয়োজনে বাংলাদেশ সচিবালয়ে আসেন।

তবে সচিবালয়ে বর্তমানে বিদ্যমান স্থাপনাসমূহ ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকারীর চাহিদা পূরণে সক্ষম হচ্ছে না। এসব বিবেচনায় রেখে হচ্ছে সচিবালয়ের নতুন ২০ তলা ভবন।

সম্প্রতি গণপূর্ত অধিদপ্তের এক অভ্যন্তরীণ আলোচনা সভার লিখিত ড্রাফট থেকে জানা যায়, ভবনের ১৪ তলা থেকে ২০ তলার ফ্লোর প্ল্যান এখনো অনুমোদন করেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ভবন শেষ করতে প্রকল্প ব্যয় সংশোধনের কথাও বলা হয়েছে সে চিঠিতে। লিফটের জন্য তিনবার দরপত্র আহ্বান করেও দরপত্র পায়নি মন্ত্রণালয়।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রাধন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, ‘প্রকল্প সংশোধন প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে আছে এবং আমাদের টিমের সাথে জনপ্রশানের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। ১৪- ২০ ফ্লোর প্ল্যান চূড়ান্তকরণে কাজ চলছে। যতদূর জানি, তা ছাড়া বাকি সব কাজ শেষ। আশা করি, অতি দ্রুত বিষয়গুলোর সমাধান হবে।’

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com