সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ : খোঁজ মিলেছে সেই মালেকের

ছেলে আব্দুল মালেকের ছবি হাতে বাবা রতন মিয়া।
ছেলে আব্দুল মালেকের ছবি হাতে বাবা রতন মিয়া।ছবি : কালবেলা

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার পর নিখোঁজ ছেলে আব্দুল মালেকের (১২) ছবি হাতে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন বাবা রতন মিয়া। তাদের ধারণা ছিল বিস্ফোরণের সময় মালেক ঘটনাস্থলেই ছিল। কিন্তু বিস্ফোরণের তিন দিন পেরোলেও কোথাও ছেলের সন্ধান পাচ্ছিলেন না। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিক্রমপুরের টঙ্গিবাড়ীর বাসায় যায় মালেক।

আব্দুল মালেক মুঠোফোনে জানান, সে হেমায়েতপুরের একটি ইট ভাটায় কাজ করেন। গত মঙ্গলবার টঙ্গিবাড়ী মায়ের বাসা থেকে বাসে করে রওনা দেয়। পথে গুলিস্তান নেমে অন্য বাসে উঠে তার হেমায়েতপুরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুলিস্তান থেকে ভুল করে সে আব্দুল্লাহপুরের বাসে ওঠে পড়েন। এরপর আব্দুল্লাহপুর নেমে আর কিছুই চিনতে পারছিলেন না। তখন তার সঙ্গে মোবাইল বা টাকা কিছুই ছিল না। পরে সেখানে একটি খাবার হোটেলে তিন দিন কাজ করেন। আজ হোচেল মালিক তাকে কিছু টাকা দিয়ে টঙ্গিবাড়ীর বাসে তুলে দেয়।

মালেকের মা সাদিয়া খাতুন বলেন, গুলিস্তানের বিস্ফোরণের দিন থেকেই মালেকের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। কোনো আত্মীয়ের বাড়ি যায়নি, আবার কাজেও যায়নি। এজন্য সন্দেহ করছিলাম বিপদ হইছে কিনা। আজকে যখন বাসায় আসে আমি বাইরে ছিলাম, ঘরে এসে দেখি মালেক ঘরে। আল্লাহ রহমত করছে।

মালেকের বাবা রতন জানান, সেদিন গুলিস্তান নেমে অন্য বাসে উঠার কথা ছিল মালেকের। তাই ধারণা করছিলাম বিস্ফোরণের ঘটনার সময় সে সিদ্দিকবাজার এলাকায় থাকতে পারে। আমার ছেলে এখন ফিরে এসেছে।

গত মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিস্ফোরণের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহায়তাকেন্দ্র ও নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করা হয়েছিল। সেখানে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য জানিয়েছিলেন স্বজনরা। তাদের দাবি অনুযায়ী, মালেক ছাড়া ইমতিয়াজ হোসেন সেলিম নামে আরও একজন নিখোঁজ রয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com