
১৯৭৩ সাল থেকে মঞ্চনাটক করছেন আসাদুজ্জামান নূর। সে হিসাবে অভিনয়ের পাঁচ দশক পূর্ণ করলেন এ অভিনেতা। কিন্তু কখনোই মঞ্চে ঘাম ফেলা পরিশ্রমের পারিশ্রমিক হাতে পাননি। এবার সেটা হলো। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় ও মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের প্রণোদনায় হৃৎমঞ্চের ‘রিমান্ড’ নামে নাটকের জন্য পারিশ্রমিক পেয়েছেন নূর। গত রবি ও সোমবার টানা দুই সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হয় ‘রিমান্ড’।
প্রদর্শনী শেষে নাটকের নির্দেশক শুভাশিস সিনহা এবং হৃৎমঞ্চ নাট্যদলের প্রধান সমন্বয়ক পাভেল রহমান অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের হাতে সম্মানী তুলে দেন। পাভেল রহমান বলেন, ‘এটি একটি রেপাটরি প্রযোজনা। অর্থাৎ গ্রুপ থিয়েটারের মতো নিজেদের নাটক নয়, অন্যদের প্রযোজিত-নির্দেশিত নাটকে কাজ করেন শিল্পীরা। তাই সরাসরি শিল্পীরাই সম্মানীটা পেয়ে যান।’
পারিশ্রমিক প্রাপ্তির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আজকে হৃৎমঞ্চ আমার হাতে যে অর্থ তুলে দিল, সেটি আমি খুব আনন্দের সঙ্গে এবং গর্বের সঙ্গে গ্রহণ করছি। ১৯৭৩ সাল থেকে মঞ্চনাটক করছি, কিন্তু কখনোই অভিনয়ের জন্য টাকা পাইনি। বিভিন্ন জায়গায় আমন্ত্রিত হয়ে আমরা নাটক করে যে টাকা পেয়েছি, সেটি আমাদের নাট্যদলের ফান্ডেই জমা হতো। আমরা শিল্পীরা কখনো কোনো আর্থিক সম্মানী গ্রহণ করিনি বা আমাদের দেওয়ার মতো অবস্থাও ছিল না।’
পাভেল বলেন, ‘আসাদুজ্জামানের মতো শিল্পীকে টাকায় পারিশ্রমিক দেওয়া সম্ভব নয়। এটা যৎসামান্য। তাই অঙ্কটা উল্লেখ করতে চাই না।’
রিমান্ড নাটকের রচয়িতা শুভাশিস সিনহা। মঞ্চে নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। নাটকে লেখকের চরিত্রে অভিনয় করছেন আসাদুজ্জামান নূর আর পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনেত্রী জ্যোতি সিনহা। আরও অভিনয় করছেন কামাল উদ্দীন কবির, সজীব হোসেন, সউদ চৌধুরী, শাহনাজ জাহান, আনিসুর রহমান রিমন, বর্ষা, সৌম্য, শাকিল ও শম্পা।
রিমান্ডের মঞ্চ পরিকল্পনা করছেন কামাল উদ্দীন কবির। আলো পরিকল্পনায় সুদীপ চক্রবর্তী। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন আইরিন পারভীন লোপা ও দ্রব্যসামগ্রীতে আছেন শাহনাজ।