সত্তরের দশকের ‘বরফ গলা নদী’ নাটকের কথা এখনো ভোলেননি দর্শকরা। এ কাজটির জন্য প্রসঙ্গক্রমে চলে আসে মিতা চৌধুরীর নাম। দর্শকদের জন্য মন খারাপের খবর হলো—ভালো নেই তাদের পছন্দের অভিনেত্রী। ভুগছেন অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে। আর তা একেবারে শেষপর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে জাঁদরেল এ অভিনেত্রী লন্ডনে আছেন। সেখানেই চলছে চিকিৎসা।
বিষয়টি জানিয়েছেন মিতার ঘনিষ্ঠজন অভিনেত্রী শম্পা রেজা। তিনি বলেন, ‘চতুর্থ স্টেজে আছেন মিতা। চিকিৎসকরা সময় বেঁধে দিয়েছেন। শিগগিরই লন্ডন যাচ্ছি। তার সঙ্গে দেখা করব।’ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২১ সালের নভেম্বরে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন মিতা। এরপর দফায় দফায় নিয়েছেন কেমোথেরাপি। তবে শরীরের অবস্থা এখন খুব একটা ভালো নেই
স্কুলজীবনেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন মিতা চৌধুরী। বিটিভিতে তার প্রথম নাটক আতিকুল হক চৌধুরীর ‘আরেকটি শহর চাই’। তবে সত্তরের দশকের ‘বরফ গলা নদী’ তার ক্যারিয়ারের মাইলফলক হয়ে যায়। বিটিভির এ নাটকটি পরিচালনা করেন আবদুল্লাহ আল-মামুন। মিতা তখন বিটিভিতে অভিনয় করতেন আর বেতারে খবর পড়তেন এবং ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করতেন।
১৯৭৮ সালে, ‘নন্দিত নরকে’ নাটকটি তাকে আলাদা মাত্রা দেয়। সত্তর-আশির দশকের জনপ্রিয় এ নাট্যশিল্পী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর ২০০৬ সালে দেশে ফিরে আবার নাটকে অভিনয় শুরু করেন। তার প্রথম ধারাবাহিকের নাম শান্ত কুটির। অভিনয়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাট্যকার মারশা নরম্যানের ‘নাইট মাদার’ অবলম্বনে মিতা চৌধুরী গুড নাইট মার পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন। চলচ্চিত্রেও তাকে দেখা গেছে। টু বি কন্টিনিউ, আন্ডার কন্সট্রাকশন, জোনাকির আলো, মেইড ইন বাংলাদেশ—ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি ।