
দেশের গুণী প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাদের সংগঠন ‘প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ’। সংগঠনটির আয়োজনে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠিত হয় দুই দিনব্যাপী ‘প্রামাণ্যচিত্র পুরস্কার ২০২২’, সঙ্গে চলচ্চিত্র উৎসব। এ বছর চলচ্চিত্রে অবদান রাখায় আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রগ্রাহক মাকসুদুল বারী। তার চিত্রগ্রহণে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘রানীকুঠির বাকী ইতিহাস’, ‘আধিয়ার’, ‘মাটির ময়না’, ‘পরিণীতা’ প্রভৃতি। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে সাইদুল আনাম টুটুল পরিচালিত ‘আধিয়ার’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন এই চিত্রগ্রাহক।
অন্যদিকে চলচ্চিত্রাচার্য আলমগীর কবির শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র (মধ্যদৈর্ঘ্য) পুরস্কার পেয়েছেন তরুণ নির্মাতা রাওয়ান সায়েমার ‘ডিকোডিং জেন্ডার’ এবং চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র (স্বল্পদৈর্ঘ্য) নির্বাচিত হয়েছে তরুণ নির্মাতা চৈতন্য রাজবংশী পরিচালিত ‘মাটিশ্বর’। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসিন মুরাদ, মোরশেদুল ইসলাম ও ফরিদুর রহমান। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী সায়ান। গতকাল শনিবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন ৭টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। উদ্বোধনী প্রামাণ্যচিত্র ছিল ব্রাত্য আমিন পরিচালিত ‘কোম্পানিদেশ’। আরও প্রদর্শিত হয় জিয়াউল হক রাজুর ‘জীবাশ্ম’, চৈতন্য রাজবংশীর ‘মাটিশ্বর’, রাওয়ান সায়েমার ‘ডিকোডিং জেন্ডার’, রাশেদ মানিকের ‘প্রাণবিক’, নেহেরু রঞ্জন সরকারের ‘ওয়ার্ক: ইয়ার টু ইয়ার’ ও মিজানুর রহমানের ‘সাঁওতাল—দ্য সঙ অব অ্যারোস’।