সংসার ভাঙনের গুঞ্জনে কয়েক মাস ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে শরিফুল রাজ-পরীমণি। যা ফেসবুকে জানান দুজনই। গত ২২ জানুয়ারি ছিল তাদের প্রথম বিয়েবার্ষিকী। সাংসারিক বর্তমান হালহকিকত বলেছেন তারা। সাক্ষাৎকার— সুদীপ্ত খান ও রাব্বানী রাব্বি
বিয়ের এক বছর পূর্ণ হলো, কেমন কাটল এই ৩৬৫ দিন?
রাজ : বরাবরই বলে এসেছি যে, আমার জীবনের সেরা অর্জন আমার ছেলে ও পরী। তাদের জন্য আমি গর্ববোধ করি।
পরীমণি : অনেক কিছু না বলে, মানে আমাদের দেখলে বা অভিব্যক্তি দিয়ে বোঝানো যায় না? (দুজনের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাসি)
রাজ-পরী সুখেই আছে?
রাজ : সুখ-দুঃখ মিলিয়েই মানুষ। তবে দুঃখে ছিলাম নাকি আমরা! আমি বলব, আমরা আগে যেমন ছিলাম, বাকি জীবনটাও দুজন মিলে তেমনভাবে একসঙ্গে কাটাতে চাই।
পরীমণি : দুঃখ তো আসেই। মানুষ মাত্রই রাগ, ঝগড়াঝাটি, খুনসুটি হবে।
আপনাদের এই টক-ঝাল-মিষ্টির রসায়নটা কেমন?
রাজ : টক যেমন টক, মিষ্টি যেমন মিষ্টি, সংসার যেমন সংসার, আমরাও ওই রকমই। (হাসি)
সন্তান রাজ্যকে নিয়ে পরিকল্পনা কী?
রাজ : ও আগে বড় হোক, তারপর পরিকল্পনা করব। একজনের বাবা অমুক বলে সমাজ সেটা যেভাবে দেখে, আমি তাতে বিশ্বাস করি না। বড় হয়ে ও (রাজ্য) নিজেই ওর পরিচয়টা তৈরি করে নেবে নিজের কাজ আর মেধা দিয়ে। আমরাও অপেক্ষায় আছি সেটা দেখার জন্য।
পরীমণি : ভালো মানুষ হোক। সবাই ওকে ভালোবাসুক। সেটাই চাই আমি। আর বড় হয়ে ও কী করতে চায়, এটা আমাদের ওপর নির্ভর করে না। ওই সিদ্ধান্ত নেবে। যখন আরেকটু বড় হবে, তখন হয়তো রাজ্যর অ্যাকটিভিটিজে আমরা বুঝতে পারব যে ও কী হতে চায়।
সংসার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুঞ্জন রয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুঞ্জন চাউর হয়েছে; তা নিয়ে কী বলবেন?
রাজ : ফেসবুক-ইউটিউব তথা ভার্চুয়াল জগতের কোনো কিছুই বিশ্বাস করি না। আমরা যে এখন কথা বলছি, তা বাস্তব; আর ওই প্ল্যাটফর্মগুলোর গসিপ হলো অবাস্তব। আমি কিন্তু চিত্রনায়িকা পরীর ফ্যানও। তার অভিনয় আমার ভালো লাগে। আমাদের প্রধান কাজ অভিনয়টা ভালোভাবে করা। আমার মনে হয়, আমরা যত ভালো গল্পের কাজ নিয়ে মানুষের কাছে যাব, মানুষজন ততই আমাদের গ্রহণ করবে। সেগুলো নিয়েই আলোচনা হওয়া উচিত। অন্য কিছু নিয়ে এত মাতামাতি করার কিছু নেই।
সমালোচনাকে কীভাবে দেখেন?
পরীমণি : ভালো লাগে, এনজয় করি।