ছড়া

তাকদুম তাকদুম
ছড়া

ঘরে আর বাইরে

হাসনাত আমজাদ

‘ও বন্ধু তুই ক্যামনে থাকিস চুপটি ঘরে বসে?

দেখবি কবে মাথাতে ছাদ পড়ছে ঝপাত খসে।

ঘরের ভেতর মন টেকে তোর? করিস কী তুই ঘরে?

বদ্ধ ঘরে থেকে কারো মন কখনো ভরে? ’

‘শুনবি তবে? সেকেলে খুব আছিস তোরা আজও

ঘরের ভেতর কত্ত আরাম! করি শতেক কাজও।

গুগল চিনিস? সার্চ দিলে সব দেখবি আসে কাছে

ঘুরি না তাই তোদের মতো মাঠ, নদী আর গাছে।

উঁচু বাড়ি, অনেক উঁচু, ঘরের ভেতর থাকি

ঘরের ভেতর রঙিন মাছ আর নাম না জানা পাখি।

জ্বলছে টিউবলাইট ঘরে রোদের মতন আলো

ফ্যান আর এসি চলছে সাঁসাঁ, সিলিংটা জমকালো।

কখনো কি থাকিস তোরা এমন নিরাপদে?

ঘর থেকে বের হওয়া মানে ঝাঁপ দেয়া নীলনদে।

ইশকুলে যাই বাধ্য হয়ে থাকত সুযোগ যদি

বাইরে গিয়ে লাগাতাম না এই গায়ে আর রোদ-ই।’

‘হাসালি তুই, অলস জীবন, মূল্য আছে কিছু?

প্রকৃতি এক শিক্ষাগুরু তাই ঘুরি তার পিছু।

দেখবি আকাশ বিশাল সেতো রং আকাশের নীল

সূর্য আছে চন্দ্র আছে তারারা ঝিলমিল।

বিজলি এসে মারছে ঝলক, মেঘশিশুরা হাসে

খোলা বাতাস, মনখোলা সে, সবাই ভালোবাসে।

ডাকছে পাহাড়, ডাকছে সাগর, ছুটছে হাজার জনে

লাফাই ঝাঁপাই সুস্থ শরীর ছুটি বনে বনে।

বাইরে যদি যাস কখনো, ফিরবি না তুই আরে-

বাইরে যাব, বাইরে যাব, বলবি বারে বারে।’

গ্রীষ্ম দিনের ছড়া

অপু বড়ুয়া

চারদিকে রোদ করছে খাঁ খাঁ

শুকিয়ে গলা কাঠ

ঝিম ধরানো গ্রীষ্ম দুপুর

পুড়ছে ধানের মাঠ।

উপচে পড়া রোদের আঁচে

বাইরে কে হয় বের

সবাই ঘরে আটকে থাকে

থাকুক না কাজ ঢের।

আমের বনে জামের বনে

পাখির কলরব

বটতলাতে দুষ্টুগুলোর

জমে না উৎসব।

কখন আবার হামলে পড়ে

কালবোশেখির ঝড়

সেই ভয়েতে হয় না বাঁধা

চাষির নতুন ঘর।

আয় আয় মেঘ মামা

রবিউল কমল

আয় আয় মেঘ মামা

আজকে যে ছুটি

বৃষ্টিকে আড়ি দেব

তোর সাথে জুটি।

আয় মেঘ উড়ে যাব

পাহাড়ের বাঁকে

একমুখ হাসি হবো

আকাশের ফাঁকে।

সেই হাসি মিশে যাবে

প্রজাপতি ফুলে

‘আয় নেমে মেঘ মামা

আয় দুলে দুলে’।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com