
গুহামানবরাও পেঁয়াজ খেত। তবে তখন সেটা চাষ হতো না। বন-জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা হতো। আর পাঁচ হাজার বছর আগে প্রথম পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পেঁয়াজের অনেক স্তর থাকে বলে প্রাচীন মিশরীয়রা সবজিটা রীতিমতো শ্রদ্ধা করত। তারা ভাবত পেঁয়াজের জীবনদানকারী ক্ষমতা আছে। চতুর্থ রামসেস ফারাওয়ের মমিতে দেখা গেছে, তার চোখের কোটরে দুটো পেঁয়াজ বসানো।
আগে গ্রিস অলিম্পিকের সময় অ্যাথলেটরা তাদের পেশি গরম করতে শরীরে পেঁয়াজ ঘষত। পান করত পেঁয়াজের জুস।
বর্তমান গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁয়াজে আছে অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এতে থাকা কোয়েরসেটিন ফ্লেভানয়েড হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী।
বছরে পৃথিবীতে এখন গড়ে ১০ কোটি ৬০ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। আর এটি সবচেয়ে বেশি খায় লিবিয়ানরা। বছরে একজন লিবিয়ান গড়ে ৩৪ কেজি পেঁয়াজ খায়।
কাটার সময় পেঁয়াজে থাকা সিন-প্রপেনথিয়াল-এস অক্সাইড নামের উপাদানটি বাষ্প আকারে আমাদের চোখের আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলেই চোখ জ্বালা করে ও পানি পড়ে।