This story is published. Editing this story will create a new version.
শব্দদূষণ ভয়ংকর
স্বাস্থ্য
Caption
Enter Caption
Attribution
Enter Attribution
শব্দদূষণ পরিবেশকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে। সচেতনতার অভাবে দিন দিন এ দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। শ্রবণশক্তি হ্রাস, উচ্চ রক্তচাপ, দুশ্চিন্তা, ঘুমের ব্যাঘাতসহ বেশ কিছু মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার মূলে রয়েছে শব্দদূষণ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
বাড়িতে, অফিসে, রাস্তাঘাটে এমনকি বিনোদনের সময়ও আমরা বিভিন্নভাবে শব্দদূষণের শিকার হচ্ছি। একটু সচেতনতা অবলম্বন করলেই এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। গাড়ির হর্ন, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, মাইকের ব্যবহার, শিল্পকারখানা কোনো ক্ষেত্রেই শব্দদূষণ বিষয়ের নীতিমালা মানা হচ্ছে না। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, শব্দদূষণের কারণে গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ক্রমাগত শব্দদূষণ-আক্রান্ত এলাকার মানুষ খিটখিটে হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া মানসিক অশান্তি, শারীরিক ও মানসিক অবসাদ এবং কাজের প্রতি অমনোযোগী করে তোলে এ দূষণ। বয়স্ক মানুষের স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং
বধিরতার মতো ঘটনাও ঘটছে। উচ্চশব্দের মধ্যে দীর্ঘসময় অবস্থান করলে উচ্চ রক্তচাপ, আলসার, হৃদরোগ, মাথাব্যথার ঝুঁকি বাড়ে। গর্ভবতী মায়েরা অতিরিক্ত শব্দে থাকলে শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। শব্দদূষণের কারণে রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট এবং হজমে গণ্ডগোলের মতো সমস্যাও হতে পারে।
বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন শব্দদূষণ সচেতনতা নিয়ে কাজ করলেও তা সমস্যার তুলনায় খুবই সামান্য। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের দেশে তেমন কোনো কার্যকর আইন নেই, ট্রাফিক আইনও যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে যে বিধিমালা রয়েছে সেখানে বিস্তারিত বলা আছে—কোন এলাকায়, দিনের কোন সময়ে, কোন ধরনের শব্দের মাত্রা কেমন হবে। আর তা না মেনে চললে সাজার বিধানও রয়েছে।
করণীয়
বিধিমালা অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবল এবং দিনের অন্য সময়ে ৫৫ ডেসিবল অতিক্রম করতে পারবে না। বাণিজ্যিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ ডেসিবল। এ নিয়ম সবাইকে সচেতনভাবে মেনে চলতে হবে।
হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতের আশপাশে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা রয়েছে। সেখানে রাতে ৪০ ও দিনে ৫০ ডেসিবল শব্দমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে।
বাইরে বের হলে ইয়ার প্লাগ বা কানের মাফল দিয়ে তীব্র শব্দ থেকে কানের সুরক্ষা করা যেতে পারে।
ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে, বাস, ট্রেন, জাহাজ, কলকারখানা এবং লাউড স্পিকারের আওয়াজ নির্দেশিত স্তরে বা নিচে বজায় রাখতে হবে।
যানবাহন থেকে নির্গত শব্দের তীব্রতা কমানোর জন্য উন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিন এবং সাইলেন্সার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধরনের মোটরযানেই শব্দের মান অতিক্রমকারী হর্ন ব্যবহার করা যাবে না।
সামাজিক অনুষ্ঠানে ডিজে পার্টি বা ব্যান্ড মিউজিকের আয়োজন শব্দদূষণের সৃষ্টি করে। এ ধরনের আয়োজন বন্ধ করতে হবে। বিয়েবাড়ির প্যারেডে ব্যান্ড বাজানো, পটকা ফাটানো বন্ধ করা উচিত।