কমিয়ে ফেলুন খরচাপাতি

কমিয়ে ফেলুন খরচাপাতি

কভিডের পর এখন অর্থনৈতিক অতিমারির কবলে বিশ্ব। পণ্যের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সামনে আরও কঠিন সময় আসছে। তাই মিতব্যয়ী হতে প্রস্তুতি নিন এখন থেকেই। কিছু উপায় বাতলে দিচ্ছেন মারজান ইমু

  • সঞ্চয় বাড়াতে হলে ব্যয় কমানোর বিকল্প নেই। প্রতিটি টাকার হিসাব রাখুন। কোন খাতে কত খরচ হচ্ছে দিন শেষে তালিকা করুন। সপ্তাহের শেষে তালিকা থেকে প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় খাতগুলো আলাদা করুন। খরচ কমাতে হলে চিন্তাভাবনায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। বদলাতে হবে জীবনধারাও।

  • কেনাকাটায় সচেতন হোন। বাজারে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকা করুন। বাকিতে না গিয়ে নগদে বাজার করুন। ইউটিলিটি বিল কমানো যায় কিনা ভাবুন। ঘরের কোনো লাইট-ফ্যান অপ্রয়োজনীয় মনে হলে সেটা খুলে রাখুন। এসি বন্ধ রাখলেও বেশ খানিকটা খরচ বেঁচে যাবে।

  • পরিবহনেও অনেক খরচ হয়। তাই চেষ্টা করুন হেঁটে যাতায়াতের। এতে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। আবার চাইলে সাইকেলও শিখে ফেলতে পারেন। কিছুদিনের চর্চায় সাইকেলে করেই আসা-যাওয়া করতে পারবেন অফিসে বা বাজারে। এতে বেঁচে যাবে টুকটাক বাস-রিকশার ভাড়া। পাবলিক বাসের রুটে বাসেই যাতায়াত করুন।

  • রেস্তোরাঁর বদলে ঘরে তৈরি খাবারকে প্রাধান্য দিন। অফিস, স্কুল-কলেজ সবখানে ঘরের খাবার নিলে দেখা যাবে খাওয়ার খরচ অর্ধেক কমেছে। এতে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি প্রশান্তিও মিলবে।

  • ডলার সংকটের এই সময়ে শখের লাগাম টেনে ধরুন। সামর্থ্য থাকলেও জাতীয় সংকট মোকাবিলায় যতটা সম্ভব দেশি পণ্য ব্যবহার করুন। আমদানীকৃত পোশাক বা পণ্য বাদ দিন। জেটফুয়েলের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই দেশের বাইরের পরিকল্পনা না হয় সুদিনের জন্য তুলে রাখুন। দেশের ভেতরেই খুঁজে নিন অজানা-অচেনা কোনো নিভৃত পল্লি।

  • উপরের নিয়ম মেনে সপ্তাহান্তে যেটুকু খরচ কমাতে পেরেছেন তার হিসাব রাখুন। মাস শেষে ঠিকই এই সঞ্চয়ের আনন্দটা উপলব্ধি করতে শুরু করবেন।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com