টব তৈরির আগে ভালো করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর টবের একদম নিচে কাঠের ছোট ছোট টুকরো, কিছু কয়লা বা ঝামা ইট দিন। কাঠ ও কয়লার ওপর ছোট ছোট নুড়ি, সুরকি অথবা ইটের খোয়া দিতে হবে। তারপর নারিকলের ছোবড়া দিয়ে বাকি অংশটা ভরাট করুন।
ভোরের প্রথম রোদ অর্কিডের জন্য খুব উপকারী। আলো-ছায়াযুক্ত জায়গা নির্বাচন করুন আর খেয়াল রাখুন যেন গাছে সরাসরি কড়া সূর্যের আলো না পড়ে। বেশি রোদ কিংবা বেশি ছায়া অর্কিড চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। তবে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
গাছে পোকার উপদ্রব হলে রোগাক্রান্ত পাতা কেটে ফেলে দিন। মাকড়সা বা পিঁপড়া আক্রমণ করলে সাবান-পানি স্প্রে করুন।
অর্কিড গাছে সপ্তাহে দুদিন স্প্রে করে পানি দিতে হবে। অর্কিডের মোটা শিকড়, পাতা ও গাছের পানি ও সার ধরে রাখার ক্ষমতা আছে। পানি যেন কোনোভাবেই টবে জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখুন। বেশি পানি দিলে অর্কিডের গাছ মারা যেতে পারে।
টব তৈরি হলে তাতে অর্কিডের চারা লাগান। খেয়াল রাখুন নারিকেলের ছোবড়া বা ইটের খোয়া যেন খুব বেশি চেপে না থাকে। কারণ গাছের গোড়ায় ও শিকড়ে বাতাস চলাচল করতে পারা জরুরি।
মাসে একবার গাছের গোড়ায় আধ চামচ সুফলা দুই লিটার পানিতে গুলে সামান্য দিতে হবে। ফুল থাকলে সার দেওয়া যাবে না।