রীতা ভৌমিক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের পিরিয়ড ব্যবস্থাপনা

বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের পিরিয়ড ব্যবস্থাপনা

ইউনিসেফের মতে, বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৪৮ শতাংশই কিশোরী। বিদ্যালয়গামী কিশোরীদের জন্য কোভিড-পরবর্তী পিরিয়ড ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নেই কোনো সচেতনতা। লিখেছেন রীতা ভৌমিক

কোভিড-পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা মাসিক ব্যবস্থাপনা সেবা পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে রানীখং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী আঁচল হাজং, নবম শ্রেণির মোহনা হাজং এবং সপ্তম শ্রেণির রিমা হাজংয়ের সঙ্গে কথা হলো। ওরা সরকারি ছুটি ছাড়া রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্লাস করে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ওরা এই স্কুলে পড়ছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে পিরিয়ড ব্যবস্থাপনা না থাকায় হঠাৎ পিরিয়ড হলে প্রধান শিক্ষিকার কাছে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। মোহনা হাজংয়ের মতে, ক্লাস চলাকালে হঠাৎ পিরিয়ড হলে প্রধান শিক্ষিকার কাছে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে আসি। কারণ বিদ্যালয়ে স্যানিটারি প্যাডের ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য চারটি বাথরুম থাকলেও একটি বন্ধ থাকে। তিনটি বাথরুম এতসংখ্যক ছাত্রীর তুলনায় কম। ছাত্রদের জন্য তিনটি বাথরুম। ইউনিয়নে কিশোর-কিশোরী কর্নারে সেবা গ্রহণের ব্যাপারে মোহনা বলেন, এ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

রিমা হাজং জানান, হঠাৎ পিরিয়ড হলে সিস্টারের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে আসি, কারণ বিদ্যালয়ে পিরিয়ড ব্যবস্থাপনায় কোনো সরঞ্জাম নেই। পরের দিন নিজেরাই স্যানিটারি প্যাড নিয়ে যাই। আঁচল হাজং বলল, ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড ফেলার জন্য বাথরুমে কোনো ঝুড়ি নেই। যদি কেউ আমাকে বাইরে ফেলতে দেখে, এ লজ্জায় পানি নির্গমনের বড় পাইপের মুখে ফেলে দিই। এ কারণে অনেক সময় বাথরুম নোংরা হয়ে যায়। সুখী পরিবার কল সেন্টারে ১৬৭৬৭ নম্বরে ফোন করে মাসিককালীন স্বাস্থ্যসেবা নেওয়া প্রসঙ্গে আঁচল বলে, এ সম্পর্কে কিছুই জানি না।

এ ব্যাপারে রানীখং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার গ্রাসিয়া বলেন, বছরখানেক আগে এই বিদ্যালয়ে যোগদান করেছি। হঠাৎ পিরিয়ড হলে ছাত্রীরা ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যায়। বিদ্যালয়ে মাসিক ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে ওদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এটা নিয়ে আমি ভেবেছি। এ জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনো ডিসপেনসারির সঙ্গে কথা বলে বিদ্যালয়ে স্যানিটারি প্যাড রাখার ব্যবস্থা করব।

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সুসং আদর্শ বিদ্যানিকেতনের দশম শ্রেণির ছাত্রী জুঁই আক্তার। বিদ্যালয়ে তথ্য আপার মাধ্যমে সুখী পরিবার কল সেন্টারে ১৬৭৬৭ নম্বরে ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নেওয়া সম্পর্কে জানতে পারেন। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কিশোর-কিশোরী কর্নারে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় ইত্যাদি বিষয়ে অবগত হলেও কখনো সেবা নেয়নি। তার মতে, বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র দূর হওয়ায় শারীরিক সমস্যা হলেও কখনো যাওয়া হয়নি। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের পিরিয়ড চলাকালে পিরিয়ড ব্যবস্থাপনার কোনো ব্যবস্থা নেই। বিদ্যালয়ের ৫০০-৬০০ ছাত্রীর জন্য দুটি পায়খানা আর চারটি প্রস্রাবখানা অপ্রতুল।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডরপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেয়েদের পিরিয়ড ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে সংস্থার স্কুল মবিলাইজার গুলশান সুলতানা বলেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির প্রতি ক্লাসে পাঁচ ছাত্র এবং পাঁচ ছাত্রীর সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে স্টুডেন্ট ফোরাম। স্টুডেন্ট ফোরামের সদস্যদের পিরিয়ড ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রত্যেক স্কুলে একজন করে হাইজিন ডেডিকেটেট শিক্ষকও নির্ধারিত করা হয়েছে। রামগতির চরমেহার আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মালিহা আফরীন বলেন, প্রথম দিকে বিদ্যালয়ে স্যানিটারি প্যাডের ব্যবস্থা ছিল না। ফার্স্ট গার্ল হওয়ায় মেয়ে সহপাঠীরা আমার মাধ্যমে স্যারের কাছে ছুটি নিত। ডরপের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্যানিটারি প্যাড বিনামূল্যে দিয়েছে। কোভিড-পরবর্তীতে বিদ্যালয়ে এসে আর স্যানিটিারি প্যাড পাইনি। বাথরুম পরিষ্কার রাখার নিয়মাবলিও শিক্ষার্থীরা জেনেছে। তবে প্রায় ৫০০ মেয়ে শিক্ষার্থীর জন্য পাঁচটি বাথরুম অপ্রতুল।

কিশোর-কিশোরী কর্নার সম্পর্কে মালিহা জানায়, ডরপ কিশোর-কিশোরী কর্নারে গিয়ে আমাদের সেবা নেওয়ার কথা বললেও বাসা থেকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র দূর হওয়ায় সেবা নিতে পারিনি। টেলিভিশনে সুখী পরিবার কল সেন্টারের বিজ্ঞাপন দেখে ভেবেছি দম্পতিরা এ সেবা পাবে। এ জন্য ১৬৭৬৭ নম্বরে ফোন করে সেবা নিতে আগ্রহ পাইনি।

রামগতির বালরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুস সালামের মতে, বিদ্যালয়ে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৫০০। বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় বছর পাঁচেক আগে ছাত্রীদের জন্য আটটি আধুনিক বাথরুম নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ে ছাত্রীর উপস্থিতির হার বেড়েছে। ডরপ পিরিয়ড ব্যবস্থাপনা হিসেবে কয়েক বছর ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড দিয়েছে। গত বছর থেকে তা বন্ধ রয়েছে।

ডরপের উপনির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান বলেন, ২০১৫ সালে ওয়াশ সম্পর্কিত সরকারের পরিপত্রটি নিয়মিত ফলোআপ করে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ছাত্রীদের জন্য আলাদা বাথরুমের ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় সরকার বরাবর আবেদনের ফলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড প্রদান করা হয়। ফলে পিরিয়ডকালীন বিদ্যালয়ে না আসার প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে।

ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসা নিয়ে ডরপের ছয় মাসের একটা জরিপে জানা যায়, ছাত্রীরা পিরিয়ডের সময় বিদ্যালয়ে আসত না। মাসিক নিয়ে কথা বলতে লজ্জা বোধ করত। বিদ্যালয়ের বাথরুম নোংরা থাকায় তা ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। বাথরুম পরিষ্কার রাখার জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে ৫০ জনের জন্য একটি টয়লেট ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। এ ছাড়া উপসহকারী মেডিকেল অফিসার এবং পরিবার কল্যাণ সেবাকেন্দ্র কর্মীরা শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হাইজিন সেশন পরিচালনা করেন। প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্যাড কর্নার তৈরি করা হয়েছে। ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে অবস্থানকালে মাসিকের সমস্যা হলে সেখান থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন পেতে পারে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে বিদ্যালয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করার জন্য আলাদা বাজেট করা হয়েছে। পিরিয়ড নিয়ে আগে যে কুসংস্কার বা বাধানিষেধ ছিল, এখন মেয়েরা মাসিক নিয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। তারা এখন পুষ্টিকর খাবার খায়, নিয়মিত বিদ্যালয়ে যায়। এখন পিরিয়ডের জন্য তারা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে না। তারা নিজেরাই এখন নিজেদের ন্যাপকিন দোকান থেকে কেনে এবং পিরিয়ড নিয়ে কথা বলে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এঅ্যান্ডআরএইচ) ডা. মো মনজুর হোসেন বলেন, আমাদের কিশোরীদের গুণগত মাসিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। কারণ কিশোরীদের সঠিক মাসিক ব্যবস্থাপনা না নিলে তাদের মধ্যে প্রজননস্বাস্থ্যে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। একজন কিশোরী এ সময়ে কী কী ব্যবস্থা নেবে এ তথ্য পরিবার পরিকল্পনা সহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিশোরী ও তাদের অভিভাবককে দেন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মীরা তাদের নির্দিষ্ট এলাকায় আটটি স্যাটেলাইট সংগঠন করে থাকে। এখানে মা, নবজাতক শিশু, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সেবা ও তথ্য দেওয়া হয়। কিশোরীদের পিরিয়ড ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়। যাতে তারা মানসম্মত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে। আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় যদি তারা মানসম্মত স্যানিটারি না কিনতে পারে সে ক্ষেত্রে বাড়িতে যে কাপড় ব্যবহার করে তা কীভাবে ধোবে, শুকাবে এবং পুনরায় ব্যবহার করবে সেই মেসেজগুলো তাদের দেওয়া হয়। তাদের সেবাকেন্দ্রে এসে সেবা নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়। বিনা পয়সায় স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হচ্ছে। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার প্রতি মাসে তাদের কর্ম এলাকায় বিদ্যালয়ে কিশোরীদের মাসিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে অবগত করছেন। বিদ্যালয়ের আশপাশে যে সেবাকেন্দ্রগুলো আছে সেখানে কিশোরীরা গেলে মাসিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে জানতে পারবে। মাসিক হওয়ায় একজন মেয়ের শরীরে যে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় তা পূরণে প্রতি সপ্তাহে আয়রন ফলিক অ্যাসিড দেওয়া হয়। এরপরও হয়তো সবার কাছে এ তথ্য পৌঁছাতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, আলাদা কর্নার না থাকায় কিশোর-কিশোরীরা সবার সামনে সেবা নিতে লজ্জাবোধ করত। এ সমস্যা নিরসনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০৩টি কিশোর-কিশোরী কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। তাদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত আলো-বাতাসপূর্ণ ঘরে পর্দার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিশোর-কিশোরীদের প্রাধান্য দিয়ে সরকার একটি বিশেষ এরিয়া রাখার কথা বলেছে। এ উদ্যোগটিও নেওয়া হয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (আইইসি) ও পরিচালক (আইইএম ইউনিট) আবদুল লতিফ মোল্লা বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের পরিবার কল্যাণ সেবাকেন্দ্র কর্মীরা প্রতি সপ্তাহে দুটো বিদ্যালয় দুদিন পরিদর্শন করেন। তারা শিক্ষা কারিকুলামে পিরিয়ড ব্যবস্থাপনার ওপর শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন। ১ হাজার ২০৩ ইউনিয়নে কিশোরী কর্নার রয়েছে। এই কিশোরী কর্নারে আশপাশের কিশোর-কিশোরীরা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসে। তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, মাসিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কাউন্সেলিং করা হয়। তাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন, ফলিক অ্যাসিড খেতে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, ৫০০ মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আসা কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, পিরিয়ড ব্যবস্থাপনা এবং ফলিক অ্যাসিড দেওয়া হয়। সুখী পরিবার কল সেন্টার ১৬৭৬৭ নম্বরে ফোন করে কিশোর-কিশোরীরা শারীরিক বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে থাকে। এবি ব্যাংক, অডিও ভিজ্যুয়াল ভ্যান ৪৮টি জোনের মাধ্যমে ৬৪টি জেলায় চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের প্রজননস্বাস্থ্য, বাল্যবিয়ে, পিরিয়ড ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতা করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্বকাপের আগে টাইগার কোচের ‘বিশেষ’ পরিকল্পনা

কেন রাতে ধান কাটছেন কৃষকরা

উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হবে দেশে গণতন্ত্র আছে : সিইসি

এক জেলায় পাঁচ সাগর

ম্যানসিটি-আর্সেনালের দিকে তাকিয়ে ক্লপ

ভোলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে শোকজ

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা

শনিবার শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, জবিতে পরীক্ষা দেবেন অর্ধলক্ষ শিক্ষার্থী

হিটস্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১০

তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের কী খবর

১১

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় আর্জেন্টিনা

১২

হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

১৩

নওগাঁয় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়

১৪

হঠাৎ বার্সা কোচের ‘ইউটার্ন’

১৫

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি

১৬

তীব্র গরমের মধ্যেই শিলাবৃষ্টির আভাস

১৭

যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

১৮

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে শোকজ

১৯

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানে যাচ্ছে না ভারত!

২০
*/ ?>
X