বগুড়ার মেয়ে হিসেবে এলাকার উন্নয়নে যতখানি সম্ভব করব। এখানকার সঙ্গে আমার নাড়ির টান রয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর বগুড়াতে একটি এয়ারপোর্ট নির্মাণের সুপারিশ করব
পিরোজপুর সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বগুড়ার মেয়ে সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরথী। বগুড়ার রাজনৈতিক অঙ্গন এবং নিজ এলাকায় তিনি ডরথী রহমান নামে পরিচিত।
পিরোজপুরের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শেখ এ্যানি রহমানের শূন্য আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডরথী রহমান মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ৮ নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরথীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচিত এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বগুড়ার মেয়ে হিসেবে এলাকার উন্নয়নে যতখানি সম্ভব আমি করব। এখানকার সঙ্গে আমার নাড়ির
টান রয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর বগুড়াতে একটি এয়ারপোর্ট নির্মাণের সুপারিশ করব। এ ছাড়া আমার যতটুকু সাধ্য থাকবে, আমি বগুড়াবাসীর উন্নয়নের জন্য কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, একদিকে নতুন গুরুদায়িত্ব অন্য দিকে বগুড়া এবং পিরোজপুরবাসীর জনগণের আমার ওপর আশা-ভরসা তো রয়েছেই। তাদের সঙ্গে নিয়েই আমি পিরোজপুরের এমপি হিসেবে এবং বগুড়ার নেতৃত্ব উভয় দায়িত্বই পালন করব। এলাকার নারী-শিশুর জীবন মানোন্নয়নে কাজ করব।
সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরথী দীর্ঘ ৩৫ বছর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান তিনি। তার বাবা ডা. গোলাম সারোয়ার ছিলেন ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ । ১৯৭০ সালে নির্বাচিত বগুড়া ধুনট আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মা ছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বগুড়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী কোহিনুর সারোয়ার। ১৯৭৮ সালে তার বিয়ে হয় ব্যবসায়ী আতাউর রহমান মুন্নুর সঙ্গে। তিনি এক কন্যা সন্তানের মা। রাজনীতিতে সবসময় পাশে পেয়েছেন স্বামীকে। কখনো বন্ধু, কখনো সুপরামর্শক হিসেবে। জীবনে চলার পথকে সহজ করতে উৎসাহ দিয়ে গেছেন সবসময়। স্বামীর সহযোগিতায় সংসার, সন্তান আর রাজনীতি একসঙ্গে সামলাচ্ছেন।
রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া প্রসঙ্গে সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরথী বলেন, ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে জনসভায় যেতাম। সেখানে মঞ্চে বাবা উঠতেই সবাই বাবাকে ফুলের মালা পরিয়ে দিতেন। বাবার হাত ধরে থাকতাম আমি। মঞ্চে বাবার পাশে বসতাম। বাবা বক্তব্য দেওয়ার আগে ফুলের মালাগুলো আমাকে পরিয়ে দিতেন। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতাম আমিও একদিন বাবার মতো হব। মানুষের জন্য কাজ করব। সেই স্বপ্ন নিয়ে ছোটবেলা থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হই।