পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপন কাজের ৯৯ ভাগ শেষ হয়েছে। বাকি আছে একটি স্লিপার বসানো। ৭ মিটার দৈর্ঘ্যের স্লিপারটি বসানো হলে আগামী বৃহস্পতিবার সেতুতে পরীক্ষামূলক রেল চলাচলের পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জরুরি ভিত্তিতে বিমানে করে স্লিপারটি শাহজালাল বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ।
প্রকৌশলী জুহুরুল ইসলাম জানান, ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা রেল সেতুতে ৮টি মুভমেন্ট জয়েন্ট রয়েছে। এর ৭টি যথাযথভাবে স্থাপন হয়েছে সফলভাবে। শুধু একটি স্লিপার মিস ম্যাচের জন্য দেরি হচ্ছে। স্লিপারটি গত ২৫ তারিখে আসার কথা ছিল। যদি কাজ শেষ হয়ে যায় তাহলে রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার সম্ভাব্য ট্রেন চলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি নির্ভর করবে স্লিপারটি আসার ওপরে। স্লিপারের সঙ্গে ৬ মিটারের কংক্রিটিং হবে। সেটি শক্ত হতে ৪৮ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। তা না হলে সেটির ওপর দিয়ে ট্রেন যেতে পারবে না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, পদ্মা নদীতে সেতু নির্মাণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। আবার সেই সেতুতে রেল সংযোগ করা আরেকটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯৯ শতাংশ। মাত্র এক দিনের মধ্যেই শতভাগ কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে পদ্মা সেতুর রেল রুটটি। প্রস্তাবিত রুটটি পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতকে সংযুক্ত করে বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-টঙ্গী-আখাউড়া-চট্টগ্রাম-দোহাজারী-ঘুমধুম সীমান্তে গিয়ে মিশবে।