আধিপত্য বিস্তারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিকল্পিত আগুন

আধিপত্য বিস্তারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিকল্পিত আগুন
ছবি : কালবেলা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার করতে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আগুন লাগানো হয়। অগ্নিকাণ্ডে ২ হাজার ৮০৫টি শেল্টার পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে ৩ হাজার ১১ পরিবারের ১৫ হাজার ৯২৬ রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়ে পড়েন। নিহতের ঘটনা না ঘটলেও আহত হয়েছেন ২১২ রোহিঙ্গা। ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। একই সঙ্গে ঘটনার অধিক তদন্ত করতে মামলাসহ ১২ সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসককে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গতকাল রোববার তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানের হাতে ৪ পৃষ্ঠার মূল রিপোর্ট ও ৭০ পৃষ্ঠার সাপোর্টিং ডকুমেন্টসসহ ৭৪ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন।

এরপর জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কমিটি।

কমিটির প্রধান সুফিয়ান বলেন, সব মহলের সঙ্গে কথা বলে যাচাই-বাছাই করে আমরা নিশ্চিত হই যে, আধিপত্য বিস্তার করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আগুনটি লাগানো হয়েছে। গত ৫ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে ১১ নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকে আগুন জ্বলে ওঠে। এ সময় রান্নার কাজও ছিল না। এক স্থানে আগুন লাগার কিছু সময় পর আরও একাধিক স্থানে আগুন ধরার বিষয়টি কোনোভাবেই স্বাভাবিক অগ্নিকাণ্ড হতে পারে না, এটি বোদ্ধামহলের অভিমত। সবকিছু পর্যালোচনা করে এটি উদ্দেশ্যমূলকই দাঁড়ায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে প্রায় চার ঘণ্টা। এ সময়ের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ঘর পুড়ে ছাই হয়।

কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে, তা তদন্ত কমিটি নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানান কমিটির প্রধান। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে ১২টি সুপারিশ দেওয়ার কথা জানান তিনি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো একটি মামলা করা যেতে পারে এবং নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ছাড়া শরণার্থী এলাকায় স্বতন্ত্র এক বা একাধিক ফায়ার ব্রিগেড ইউনিট স্থাপন, শেল্টার নির্মাণে বিকল্প উপকরণ ব্যবহার, ক্যাম্পে প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ, রাস্তার পাশে কংক্রিটের জলাধার নির্মাণ, রোহিঙ্গাদের ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ ইত্যাদি পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com