পবিত্র রমজান মাসে ইফতারি ও সেহরিকে কেন্দ্র করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে বেড়েছে খাবারের অর্ডার। ডিজিটাল মাধ্যমে অর্ডার করে খাবার ডেলিভারি পাওয়া যাচ্ছে ঘরে বা অফিসে। প্রতিষ্ঠানভেদে মূল্যছাড় এবং ক্যাশব্যাকের মতো অফার তো আছেই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইফতার ও সেহরিতে দেশে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে খাবার ডেলিভারির জন্য দৈনিক প্রায় ৫০ হাজার অর্ডার হচ্ছে। গত রমজানে অনলাইনে খাবার ডেলিভারির বাজার ছিল প্রায় ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩০০ কোটি টাকার।
বাংলাদেশে অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম ফুডপান্ডা, হাংরিনাকি, কিউকম ফুড, পাঠাও ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই বাড়ছে অনলাইনে খাবার ডেলিভারির চাহিদা। রমজানের শুরুর দিকে সেহরির তুলনায় ইফতারে খাবার সরবরাহের চাহিদা থাকে বেশি। তবে ঈদের আগে সেহরিতে খাবার ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ে। ঢাকায় অনলাইনে খাবার অর্ডারের হার বেশি। এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনার মতো বিভাগীয় শহরগুলো।
কিউকম ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী রিপন মিয়া বলেন, ইফতার ও সেহরির অর্ডারের তুলনা করলে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ অর্ডার আসে ইফতারে। তবে রোজার মাঝামাঝি থেকে সেহরির অর্ডারের পরিমাণও বাড়তে থাকে।
করোনার সময় থেকেই অনলাইনে খাবার অর্ডার বাড়ছে উল্লেখ করে হাংরিনাকির হেড অব বিজনেস ইমাম হোসেন জয় বলেন, কোভিড-১৯-এর সময় থেকে অনলাইনে খাবার অর্ডার করার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আমরা দেখছি।
স্ট্যাটিস্টার (জার্মানিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা) এক তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে রমজানে অনলাইনে খাবার সরবরাহের বাজার ছিল প্রায় ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রমজানকে কেন্দ্র করে ইফতার ও সেহরির খাবারের ওপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে আকর্ষণীয় কিছু অফার। সর্বনিম্ন ৪০০ টাকার খাবারের অর্ডারে ১০০ টাকার মূল্যছাড় দিচ্ছে হাংরিনাকি। পাশাপাশি মোবাইল আর্থিক সেবা বিকাশ, নগদ এবং সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড দিয়ে খাবারের মূল্য পরিশোধ করলে হাংরিনাকি দিচ্ছে ক্যাশব্যাক অফার।
ন্যূনতম ৫০০ টাকার অর্ডারে ১৫০ টাকা ডিসকাউন্টের পাশাপাশি ফ্রি ডেলিভারি দিচ্ছে কিউকম। আর রাজধানীর বনানী এবং ধানমন্ডিতে ‘গ্র্যান্ড ইফতার টেকঅ্যাওয়ে ফেস্ট’ আয়োজন করেছে ফুডপান্ডা।
এদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সারা দেশে অনলাইনে আসা দৈনিক অর্ডারের পরিমাণের সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি এর সংখ্যা গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার।
বিপুলসংখ্যক এই অর্ডার গ্রাহকের কাছে সরবরাহও করতে হয় নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রস্তুতি।
হাংরিনাকির ইমাম হোসেন জয় বলেন, রমজানের সময়ে অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গ্রাহকরা প্রায় একই সময়ে অর্ডার দিয়ে থাকেন। ফলে আমাদের সেই অর্ডারগুলো গ্রহণ করে যথাসময়ে পৌঁছাতে হয়। এজন্য আমাদের লোকবল বাড়াতে হয়।
শুধু রাজধানীতেই আমাদের চুক্তিভিত্তিক ও ফ্রিল্যান্সার মিলিয়ে প্রায় ৮০০ জন রাইডার (খাবার সরবরাহকারী) সক্রিয় থাকেন। কিউ কম ফুডের রিপন মিয়া বলেন, আমাদের ২০০ জন নির্ধারিত এবং ৬০০ ফ্রিল্যান্সার রাইডার রয়েছেন।শাওন সোলায়মান
পবিত্র রমজান মাসে ইফতারি ও সেহরিকে কেন্দ্র করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে বেড়েছে খাবারের অর্ডার। ডিজিটাল মাধ্যমে অর্ডার করে খাবার ডেলিভারি পাওয়া যাচ্ছে ঘরে বা অফিসে। প্রতিষ্ঠানভেদে মূল্যছাড় এবং ক্যাশব্যাকের মতো অফার তো আছেই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইফতার ও সেহরিতে দেশে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে খাবার ডেলিভারির জন্য দৈনিক প্রায় ৫০ হাজার অর্ডার হচ্ছে। গত রমজানে অনলাইনে খাবার ডেলিভারির বাজার ছিল প্রায় ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩০০ কোটি টাকার।
বাংলাদেশে অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম ফুডপান্ডা, হাংরিনাকি, কিউকম ফুড, পাঠাও ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই বাড়ছে অনলাইনে খাবার ডেলিভারির চাহিদা। রমজানের শুরুর দিকে সেহরির তুলনায় ইফতারে খাবার সরবরাহের চাহিদা থাকে বেশি। তবে ঈদের আগে সেহরিতে খাবার ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ে। ঢাকায় অনলাইনে খাবার অর্ডারের হার বেশি। এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনার মতো বিভাগীয় শহরগুলো।
কিউকম ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী রিপন মিয়া বলেন, ইফতার ও সেহরির অর্ডারের তুলনা করলে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ অর্ডার আসে ইফতারে। তবে রোজার মাঝামাঝি থেকে সেহরির অর্ডারের পরিমাণও বাড়তে থাকে।
করোনার সময় থেকেই অনলাইনে খাবার অর্ডার বাড়ছে উল্লেখ করে হাংরিনাকির হেড অব বিজনেস ইমাম হোসেন জয় বলেন, কোভিড-১৯-এর সময় থেকে অনলাইনে খাবার অর্ডার করার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আমরা দেখছি।
স্ট্যাটিস্টার (জার্মানিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা) এক তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে রমজানে অনলাইনে খাবার সরবরাহের বাজার ছিল প্রায় ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রমজানকে কেন্দ্র করে ইফতার ও সেহরির খাবারের ওপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে আকর্ষণীয় কিছু অফার। সর্বনিম্ন ৪০০ টাকার খাবারের অর্ডারে ১০০ টাকার মূল্যছাড় দিচ্ছে হাংরিনাকি। পাশাপাশি মোবাইল আর্থিক সেবা বিকাশ, নগদ এবং সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড দিয়ে খাবারের মূল্য পরিশোধ করলে হাংরিনাকি দিচ্ছে ক্যাশব্যাক অফার।
ন্যূনতম ৫০০ টাকার অর্ডারে ১৫০ টাকা ডিসকাউন্টের পাশাপাশি ফ্রি ডেলিভারি দিচ্ছে কিউকম। আর রাজধানীর বনানী এবং ধানমন্ডিতে ‘গ্র্যান্ড ইফতার টেকঅ্যাওয়ে ফেস্ট’ আয়োজন করেছে ফুডপান্ডা।
এদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সারা দেশে অনলাইনে আসা দৈনিক অর্ডারের পরিমাণের সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি এর সংখ্যা গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার।
বিপুলসংখ্যক এই অর্ডার গ্রাহকের কাছে সরবরাহও করতে হয় নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রস্তুতি।
হাংরিনাকির ইমাম হোসেন জয় বলেন, রমজানের সময়ে অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গ্রাহকরা প্রায় একই সময়ে অর্ডার দিয়ে থাকেন। ফলে আমাদের সেই অর্ডারগুলো গ্রহণ করে যথাসময়ে পৌঁছাতে হয়। এজন্য আমাদের লোকবল বাড়াতে হয়।
শুধু রাজধানীতেই আমাদের চুক্তিভিত্তিক ও ফ্রিল্যান্সার মিলিয়ে প্রায় ৮০০ জন রাইডার (খাবার সরবরাহকারী) সক্রিয় থাকেন। কিউ কম ফুডের রিপন মিয়া বলেন, আমাদের ২০০ জন নির্ধারিত এবং ৬০০ ফ্রিল্যান্সার রাইডার রয়েছেন।