
গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল চোর চক্রের অন্যতম সদস্য নুরু মিয়া (৩৬)। মাথায় ১৪টি মামলা এবং পাঁচটি ওয়ারেন্টের বোঝা নিয়েও অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছিল এই চুরি। তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলাও রয়েছে। সেই মামলায় ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামিও সে।
নুরুসহ এ চক্রের আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)। তারা হলো মুসা মিয়া, শাহ আলম ও মোহাম্মদ আরিফ।
জিএমপির বাসন থানা পুলিশ জানায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তা শাপলা ম্যানশনের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয়দের সহায়তায় গত ৫ মার্চ মোটরসাইকেল চোর নুরু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, নুরু মিয়া পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, চুরি করা মোটরসাইকেল সে বিক্রি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার মুসা মিয়ার কাছে। এরপর অভিযান চালিয়ে মুসা, শাহ আলম ও আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মুসা মিয়ার কাছ থেকে ওই মামলার চোরাই মোটরসাইকেলের সামনের অংশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তার কাছ থেকে বিভিন্ন চোরাই মোটরসাইকেলের পাঁচটি ডিজিটাল নম্বরপ্লেট, আটটি ভাঙা লক, বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ এবং মোটরসাইকেল খোলার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, নুরু মিয়া গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে মুসা মিয়ার কাছে বিক্রি করে। মুসা তার দুই সহযোগীর সহায়তায় এসব মোটরসাইকেলের রং এবং আকৃতি পরিবর্তন করে বিক্রি করে দেয়। এ বিষয়ে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ কমিশনার জানান, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ও নিকলী থানায় যোগাযোগ করে জানা গেছে, বাজিতপুর থানায় নুরু মিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা পরোয়ানাসহ তিনটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং নিকলী থানায় দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মুলতবি রয়েছে। আরেক সদস্য মুসা মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু মামলা রয়েছে।