কারিগরি দলের ভুলে প্রাথমিকের বৃত্তির ফলে ত্রুটি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।ছবি : সংগৃহীত

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) কারিগরি দলের ভুলে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার ফলে ত্রুটি হয়েছে। এ তথ্য উঠে এসেছে ফলের ত্রুটি খতিয়ে দেখতে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটি সম্প্রতি জমা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) মোছা. নূরজাহান খাতুন বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। তারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

এদিকে, প্রতিবেদন পাওয়ার পর কারিগরি দলের চিহ্নিত সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহাম্মদ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তিনি কালবেলাকে বলেন, আমি প্রতিবেদনটি বিস্তারিত দেখিনি। তবে যেটুকু দেখেছি কারিগরি ত্রুটির বিষয়টিই উঠে এসেছে। এতে কারিগরি বিষয়টি যারা দেখভাল করত, তাদের গাফিলতির কথাই বলা হয়েছে। যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালবেলাকে জানান, প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষার কারিগরি বিষয়টি দেখেছে অধিদপ্তরের তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের একটি দল। আর সামগ্রিকভাবে পুরো প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. উত্তম কুমার দাশ। এখন যদি কারিগরি দলের ত্রুটির কারণে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হয়, তাহলে ফেঁসে যাবেন উত্তম। এ বিষয়ে জানতে ড. উত্তম কুমার দাশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাকে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। কিন্তু বৃত্তির ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়ার পর ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ফল নিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা।

এরপর পরীক্ষার ফলের ত্রুটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুই মাস সময় নিয়ে যেই বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ত্রুটি ধরা পড়ার পরও এক দিনের মধ্যেই তড়িঘড়ি করে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এর পরই শুরু হয় সমালোচনা। সংশোধিত ফলে কারও গ্রেড পরিবর্তন হয়, আবার কেউ ট্যালেন্টপুলে ও সাধারণ বৃত্তি পেয়েও পরবর্তী সময়ে বাদ পড়ে। এ নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। অনেকেই অধিদপ্তরে ফল চ্যালেঞ্জের আবেদন করেছেন।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com