
আগামী জুনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। তিনি বলেন কয়লা সংকটে বন্ধ থাকা প্রথম ইউনিট আগামী সপ্তাহে পুনরায় চালু হবে।
গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ মালিকানাধীন রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, কয়লা সংকট একটি অপারেশনাল ইস্যু। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, এই সংকট কেটে যাবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন পুরোপুরি চালু হবে।
যেসব দেশ দ্রুত উন্নয়ন করছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত একটি সৌহার্দের প্রকল্প মৈত্রী সুপার থার্নাল পাওয়ার প্লান্ট। এই প্লান্টের উৎপাদিত বিদ্যুৎ ধারাবাহিক উন্নয়নে অপরিহার্য চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দুই ইউনিটের মৈত্রী সুপার থার্নাল পাওয়ার প্লান্ট নির্মিত হয়েছে। প্রথম ইউনিট এরই মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে এবং উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে।
রামপাল পাওয়ার প্লান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ একরাম উল্লা বলেন, কয়লার জোগান নিশ্চিত করায় শিগগির সংকট কেটে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ইউনিট আগামী জুনে
উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর প্রকল্পের সার্বিক কাজ শতকরা ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে।
এর আগে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখেন। পরে তিনি খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প পরিদর্শনে মোংলা বন্দরে যান। তিনি মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত হন।
এ ছাড়া ভারতীয় পর্যটন জাহাজ গঙ্গা বিলাস মোংলা বন্দরে নোঙর করার পর নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর দেওয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রণয় ভার্মা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইকমিশনারের স্ত্রী মানু ভার্মা, প্রথম সচিব (অর্থ ও বাণিজ্য) প্রতীক ডি নিয়োগী, খুলনার সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনার ইন্দ্রজিত সাগরসহ অন্য কর্মকর্তারা।