
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধিস্থলসহ আশপাশের ভূমি দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের গাজীপুরা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বিশনন্দী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জমির আলী গাজীপুরা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মো. আলাউদ্দিনের সমাধিস্থলসহ সংলগ্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানার চারদিকে বাঁশ দিয়ে বেড়া দেন। এ নিয়ে গাজী পরিবার ও জমির আলী পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে গাজী রনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ জমির আলী মেম্বারকে আটক করে নিয়ে আসে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে সমাধিস্থল থেকে বাঁশ সরিয়ে নেওয়ার শর্তে উভয়পক্ষ বৃহস্পতিবার লিখিত সম্মতি দিলে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ হয়নি। গতকাল বিকেলে এ নিয়ে গাজীপুরা এলাকায় বিশনন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষের লোকজন ও জমির কাগজপত্র নিয়ে সালিশে বসেন। এতে মীমাংসা না হওয়ায় উভয় পক্ষের তিনজন করে থানায় আসার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়।
এদিকে সালিশ থেকে বের হয়ে জমির আলী মেম্বার ফের সমাধিস্থল মাদ্রাসা ও এতিমখানার ভূমি দখল করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও আশঙ্কাজনক অবস্থার কারণে হযরত আলী (৫০), আল আমিন (৪০), হারুল গাজী (৬৫) নামে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আলাউদ্দিনের ভাই গাজী মাসুদ বলেন, জায়গাটি আমাদের নিজস্ব সম্পত্তি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছি। তারা কবরসহ আমাদের জায়গা দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা বাধা দিলে জমির মেম্বারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এদিকে জামির মেম্বার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সত্যতা নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।