খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে

খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া।পুরোনো ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তার পরিবারের করা আবেদন স্বরাষ্ট্র থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে ফাইলটি এখনো আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে উপস্থাপন করা হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির নেতৃত্বে ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, স্পেন ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। সরকার চায়, সব দলই এই নির্বাচনে আসুক। তবে সরকার সংবিধানের বাইরে যাবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর বিদেশিদের কোনো চাপ নেই। রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।

খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এখনো আবেদনটি আসেনি। এলে নিষ্পত্তি করব। তখন আপনাদের অবশ্যই জানাব। এখনো জানি না, ফাইলের মধ্যে কী আছে। যতটুকু জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে এবার স্থায়ী জামিন চাওয়া হয়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের, সরকারের নয়। প্রথমবার যখন তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়, তখন দুটি শর্ত দেওয়া হয়— তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। যে শর্ত আছে, সেটাই বহাল থাকবে বলে আমি মনে করি। খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এ ব্যাপারে একটা পরিষ্কার কথা বলতে চাই। আমি আগে যেটা বলেছিলাম, সেটা আইনের বইতে কী আছে আপনারা দেখে নেন। আমি এটার ব্যাপারে আর কথা বলব না।

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। খালেদা জিয়ার পরিবার এবারের আবেদনেও শর্ত শিথিল করে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com