
কুমিল্লার আদর্শ সদরে আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হককে (৩৫) দিনে-দুপুরে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াত-শিবির কর্মীদের বিরুদ্ধে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখারচরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এনামুল হক আলেখারচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয়রা জানান, গ্রামের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে এনামুল বের হলে জামায়াত-শিবির কর্মী কাজী জহিরুল ইসলামের নেতৃত্ব তার ভাই কাজী আমানুল ইসলাম ও সাইদ
মিলে এনামুলকে টেনেহিঁচড়ে মসজিদের সামনে শুইয়ে গলা কেটে ফেলেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনামুল মারা যান।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাবেল জানান, আওয়ামী লীগ কর্মী এনামুলের সঙ্গে জামায়াত নেতা কাজী জহির গংয়ের রাজনৈতিক বিরোধের পাশাপাশি এনামুলের প্রতিষ্ঠিত আলেখাচর দক্ষিণপাড়া জমিরিয়া তালিমুল হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ মাদ্রাসার সেক্রেটারি ছিলেন এনামুল। কাজী জহির গং দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করছিলেন। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার কাজী জহিরের মাদকসেবন ও জুয়া খেলার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। এ জন্য এনামুলকে দায়ী করে। এতে কাজী জহির গং এনামুলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে জুমা পড়ে বের হলে কাজী জহিরের উপস্থিতিতে তার ভাই আমানুলসহ জামায়াত-শিবির কর্মীরা এনামুলের গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করেন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে এনামুল মারা যান।
ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।