লাশের বাক্সের গায়ে নামের ভুলের কারণে ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাকিবুল হাসানের বাড়িতে এসেছে কুমিল্লার সাইফুল ইসলামের মরদেহ। গতকাল বুধবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাকিবের কফিনটি ফ্রিজিং গাড়িতে পিরোজপুর আনা হয়। এ সময় তার বাড়ির লোকজন শেষবারের মতো দেখতে কফিন খুলে দেখেন সেখানে কুমিল্লার সাইফুলের মরদেহ।
নিহত রাকিবুল হাসানের বাবা আব্দুল মালেক জানান, প্রায় এক বছর আগে চাকরির আশায় ওমানে যায় রাকিবুল হাসান। গত ৬ এপ্রিল সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় রাকিব ও সাইফুল। একই সময় বিমানে দুজনের লাশই দেশে আসে। পরে বিমানবন্দরে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের সময় রাকিবের লাশ সাইফুলের পরিবারের এবং সাইফুলের লাশ রাকিবের পরিবারের কাছে চলে আসে।
জানা গেছে, সাইফুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাকিবের মরদেহ বহনকারী ফ্রিজিং গাড়িটি পিরোজপুরে এবং সাইফুলের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি কুমিল্লায় পাঠানো হয়। পরে বিকেলে রাকিবের মরদেহ পিরোজপুরে পৌঁছলে বাদ আসর জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবু জাফর মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনা শোনার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মরদেহ পরিবর্তনের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কুমিল্লার সাইফুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং দ্রুত রাকিবের মরদেহ বহনকারী ফ্রিজিং গাড়ি পিরোজপুরে এবং সাইফুলের মরদেহ বহনকারী গাড়ি কুমিল্লায় পাঠানো হয়।