ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনিরের সরকারি গাড়ির ধাক্কায় মামুন মাঝি নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ঝালকাঠির ষাটপাকিয়া চৌমাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সরকারি গাড়ি নিয়ে বরিশালে যাচ্ছিলেন এমাদুল হক মনির। এ সময় গাড়িতে তিনি ও পুলিশ সদস্যসহ ৪ থেকে ৫ জন ছিলেন। গাড়িটি ঝালকাঠির ষাটপাকিয়া চৌমাথা এলাকায় পৌঁছালে এর সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মামুন মাঝির মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে যান মামুন। সেখান থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও গুরুতর আঘাতের কারণে মামুনের মৃত্যু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত চালক দিয়ে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে আসছেন কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হক মনির। সরকারি বিধি না মেনে প্রায়ই জেলার বাইরে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি নিয়ে যাওয়া ও সরকারি গাড়ি নিয়ে মায়ের নির্বাচনী প্রচারসহ দলীয় কাজে ব্যবহারের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
সেই ধারাবাহিকতায় গতকালও সরকার নিযুক্ত চালক মো. শামিমকে বাদ দিয়ে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তার নিজস্ব দেহরক্ষী আবুল বাশার বাবু। বিষয়টি স্বীকার করে আবুল বাশার বাবু বলেন, ‘আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের ড্রাইভার না, আমি তার দেহরক্ষী। তার ড্রাইভার অসুস্থ থাকায় আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম। দুর্ঘটনার পর আমরা তাকে (মামুন) আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
এদিকে ঘটনার পর কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। আর তাকে দেওয়া গাড়ির জন্য সরকার নিযুক্ত চালক শামিমকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইনটি কেটে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন।
নলছিটি থানার ওসি আতাউর বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।