মাদারীপুরের শিবচরে ইমাদ পরিবহনের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে হতাহতের ঘটনায় পরিবহন কোম্পানিকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। গত রোববার রাতে শিবচর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এদিকে গতকাল সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।
মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরার নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ হাসানাত-ই-রাব্বি ও মাদারীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হোসেন। এ ছাড়া বুয়েটের একটি প্রতিনিধি দল তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, বাস কোম্পানিকে অভিযুক্ত করে হাইওয়ে পুলিশ মামলা করেছে। বাসটির চালক, সুপার ভাইজার, সহকারী দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার কারণে মামলা থেকে তাদের রেহাই দেওয়া হয়েছে। বাসটি একটি কোম্পানির অধীনে পরিচালিত হতো, তাই নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে মামলা না করে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের বাসটি সড়কের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে ১৯ যাত্রী নিহত হন। আহত হন অন্তত ২০ জন।
জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির রুট পারমিট স্থগিত ছিল। ছিল না ফিটনেস সার্টিফিকেট। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বালুবোঝাই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় ইমাদ পরিবহনের ওই বাসটি। এতে তিন যাত্রী প্রাণ হারান। আহত হন ৮ জন। এরপর ওই গাড়ির কাগজপত্রের অনুমোদন স্থগিত করা হয়। সবশেষ গত ১৮ জানুয়ারি ওই বাসের গাড়ির ফিটনেস সনদের মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়। তবে চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকায় মালিকরা বাসের ফিটনেস নবায়ন করেননি।
এ ছাড়া কয়েক মাস আগে একই কোম্পানির অন্য আরেকটি বাস মাদারীপুরের শিবচরে দুর্ঘটনায় পড়লে তিনজন নিহত হন। সেই ঘটনায় শিবচর থানায় মামলাও হয়; কিন্তু রহস্যজনক কারণে মামলা তুলে নেয় নিহতের পরিবার।