সরকারি ৮ প্রতিষ্ঠানের ২২৯ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

সরকারি ৮ প্রতিষ্ঠানের ২২৯ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

রাজউকের আওতাধীন এলাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ আটটি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ২২৯টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৪২টি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে এবং ১৮৭টি রেক্ট্রোফাইটিং করতে হবে। আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প : রাজউক অংশের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

রাজউকের এক প্রতিবেদন বলা হয়, আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (ডিএমডিপি) এলাকার সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আওতাধীন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের ভবনের ঝুঁকি নিরূপণ করতে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান

রেজিলিয়েন্স প্রকল্প : রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গবেষণার দায়িত্বে ছিল জেভি অব এনএকওয়াই (তুর্কি)। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল ঢাকার শেলটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ডিএমডিপি এলাকার ৩ হাজার ২৫২টি ভবনের র‍্যাপিড ভিজ্যুয়াল অ্যাসেসমেন্ট (আরভিএ) এবং প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (পিইএ) করে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরূপণ করে। পরে গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য রিপোর্ট আকারে রাজউকে দাখিল করে।

জানা গেছে, ওই রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান মিঞার সভাপতিত্বে গত ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সংস্থাটির বোর্ডসভায় উপস্থাপন করা হয়। সেখানে আলোচনা শেষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গবেষণা রিপোর্টে ৬টি প্রতিষ্ঠানের ৪২টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৩টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি, মাদ্রাসা বোর্ডের ১টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১টি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি ভবন।

এ ছাড়া রিপোর্টে ৭টি প্রতিষ্ঠানের ১৮৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মজবুতীকরণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে—ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ৩টি, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের ৪টি, মাদ্রাসা বোর্ডের ৬টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।

রাজউকের তথ্যমতে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে মজবুতীকরণ এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশের প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) মো. মোবারক হোসেন দৈনিক কালবেলাকে বলেন, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এসব ভবনের বিষয়ে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙা এবং রেক্ট্রোফাইটিং করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের। তারা নিজ উদ্যোগে এসব কাজ করবেন। তারা যদি আমাদের কোনো সহযোগিতা চান তাহলে আমরা সহযোগিতা করব।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com