চার বাংলাদেশির লড়াই

চার বাংলাদেশির লড়াই
ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে আগামী ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পার্লামেন্ট নির্বাচন। বিশ্বের ষষ্ঠ প্রাচীনতম গণতন্ত্রের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় রাজনীতির কেন্দ্রে রয়েছে প্রধান দুই দল লেবার ও লিবারেল পার্টি। আর সর্বাধিক অভিবাসী অধ্যুষিত নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যটি বরাবরই লেবার পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

১৯৪১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যের শাসনক্ষমতায় ছিল লেবার পার্টি। এরপর আসে পালাবদল। ২০১১ সালে ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতাসীন হয় লিবারেল পার্টি। গত এক যুগ ধরে তারাই রয়েছে ক্ষমতায়। তাই আবার ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে লড়ছে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, এবারের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানরাও এখন ধীরে ধীরে মূল ধারার রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন। গত বছর নিউ সাউথ ওয়েলসের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পাঁচজন বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। আর এবার অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে লিবারেল পার্টি থেকে চার বাংলাদেশি মনোনয়ন পেয়েছেন। সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা বেশি হলেও এই দল থেকে কোনো বাংলাদেশি এবার মনোনয়ন পাননি।

মনোনয়ন পেয়েছেন যারা

ম্যাককোয়ারি ফিল্ডস আসন থেকে লিবারেল পার্টির মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ড. খায়রুল চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র দুই দশক ধরে ম্যাককোয়ারি ফিল্ডসে বসবাস করছেন। এই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে তার। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি কমিউনিটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে পরিচিত মুখ তিনি।

গ্র্যানভিল আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ এন এম মাসুম। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী মাসুম অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাকাউন্টিংয়ে ডিপ্লোমা এবং হসপিটালিটি ও কমার্শিয়াল কুকারিতে পড়াশোনা শেষ করেছেন। এখন সেখানে ব্যবসা করছেন তিনি।

রকডেল আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোহাম্মদ রানা। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী রানা পেশায় নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার এবং বর্তমানে সাইবার সিকিউরিটিতে পিএইচডি করছেন। আর অবার্ন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোহাম্মদ হাসিন জামান। স্কটিশ বংশোদ্ভূত এই বাংলাদেশি অভিবাসন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন।

এদিকে পার্লামেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ থেকে শুরু হচ্ছে আগাম ভোট। ডাকযোগে, অনলাইন, টেলিফোন এবং নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে নির্বাচনের আগেই আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com