হাসান আজাদ
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৫ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

তীব্র ডলার সংকটে বিদ্যুৎ খাত

তীব্র ডলার সংকটে বিদ্যুৎ খাত

বিদ্যুৎ খাতে ডলার সংকট তীব্র হচ্ছে। ডলারের অভাবে জ্বালানি কিনতে না পারায় চালু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে উৎপাদন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজের গতি কমে গেছে। নির্মাণ প্রকল্পগুলোর ঋণ কিস্তি পরিশোধে দেরি হওয়ায় জরিমানা গুনতে হচ্ছে। এমনকি ডলার সংকটের কারণে ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের বিল মাসের পর মাস জমে যাচ্ছে। এর ফলে বিলম্ব বিল পরিশোধে সারচার্জ দিতে হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে উৎপাদন ও সরবরাহ ঠিক রাখতে ডলারের সংস্থান করতে বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ডলার সংকট না মেটাতে পারলে সামনে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। গ্রীষ্মে বাড়তে পারে লোডশেডিং। এর ফলে ব্যাহত হবে সেচ ব্যবস্থা। এমনকি আসন্ন রমজানেও পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে পড়তে পারে। কর্মকর্তারা জানান, এরই মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ডলার সংকট পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন কালবেলাকে বলেন, ডলার সংকট হবে না। কারণ, আসন্ন রমজান, সেচ মৌসুম ও গ্রীষ্মে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক থাকে সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য জ্বালানি আনতে ও বিদ্যুৎ আমদানিতে যে পরিমাণ ডলার প্রয়োজন, সেটির জন্য নীতিনির্ধারক পর্যায়ে জানানো হয়েছে। আশা করছি ডলার সংকট হবে না।

ডলার সংকটে কেনা যাচ্ছে না কয়লা :

দেশের অন্যতম বড় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা ও রামপাল কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে। এই দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র কয়লাভিত্তিক। কয়লার অভাবে দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু হয়েছে। বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লার মজুত আছে তাতে করে আগামী ১৭ থেকে ১৮ দিন উৎপাদন চালানো সম্ভব হবে বলে জানান এ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক সুভাস চন্দ্র পান্ডে।

কয়লা সংকট উৎপাদনের প্রধান বাধা উল্লেখ করে ওইদিন প্রকল্প এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এখন পাইপলাইনে যে কয়লা রয়েছে সেটি দিয়ে কেন্দ্রটির একটি ইউনিট আগামী মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত চালানো সম্ভব। এর মধ্যে এলসি জটিলতা না কাটলে কয়লা আমদানি ব্যাহত হবে। ফলে কেন্দ্রটি চালু রাখা সম্ভব হবে না। তিনি জানান, ডলার সংকটের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিআইএফপিসিএল। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগ ও সমান অংশীদারত্বে কেন্দ্রটির প্রতি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫ হাজার ক্যালরিফিক মানের কয়লা দরকার হয়, যা ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করার শর্ত রয়েছে। প্রতি ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় পরিচালনার জন্য দৈনিক ৪ হাজার ৫০০ টন কয়লা দরকার। এই হিসেবে দুটি ইউনিট পুরোদমে চালু হলে দৈনিক ৯ হাজার টন কয়লা লাগবে; কিন্তু এলসি জটিলতায় কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় গত ১৪ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন ফের বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুতের সক্ষমতা রয়েছে তিন মাসের। নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের কয়লা মজুত রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আগে কেন্দ্রটিতে ওই পরিমাণ কয়লার মজুত ছিল না।

প্রায় একই অবস্থা পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের। বাংলাদেশ ও চীন যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। গেল ২৫ জানুয়ারি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম বিদ্যুৎ বিভাগে লেখা এক চিঠিতে ডলার সংকটের কারণে কয়লা কিনতে না পারায় আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমে অর্থাৎ মার্চ থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পায়রায় কয়লা সরবরাহ চুক্তি অনুযায়ী সিএমসি ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কয়লা আমদানিতে অর্থায়ন করেছে। কয়লা আমদানি বাবদ সিএমসির পাওনা প্রায় ৪৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। এর মধ্যে ১৮০ দিনের মধ্যে পরিশোধের শর্তে কয়লা আমদানিতে বকেয়ার পরিমাণ ১৫ কোটি ১৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে ২০২২ সালের অক্টোবরের জন্য প্রায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের, নভেম্বরে ৫ কোটি ৮৩ লাখ ও ডিসেম্বরের জন্য প্রায় ৩ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের কয়লা আমদানির অর্থ বকেয়া রয়েছে। এ অর্থের পুরোটা পরিশোধসাপেক্ষে কয়লা আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করবে সিএমসি। তবে ১৫ কোটি ১৫ লাখ ডলার বকেয়ার মধ্যে দুটি কিস্তিতে ১১ কোটি ৬০ লাখ ডলার এরই মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিপিসিএলের কর্মকর্তারা। সে অনুযায়ী এখনো অন্তত সাড়ে ৩ কোটি ডলার বকেয়া রয়েছে।

পরে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি অর্থ বিভাগে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, অর্থ ও বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান না থাকায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা আমদানির বকেয়া পরিশোধ করতে পারছে না পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বিসিপিসিএল। এখনো প্রতিষ্ঠানটির কাছে কয়লার মূল্য বাবদ প্রায় ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বেশি পাবে রপ্তানিকারকরা। বাকি অর্থ পরিশোধ না হলে কয়লা আমদানি করা হবে না বলে জানিয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি)। উপসচিব তাহমিনা বেগম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বকেয়া থাকায় গত ১ জানুয়ারি থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। শুধু কয়লা আমদানি নয়, জটিলতা রয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে নেওয়া ঋণের অর্থ পরিশোধের দিক থেকেও। ডিসেম্বরেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণের চতুর্থ কিস্তি পরিশোধ করার কথা ছিল। এটি এখনো পরিশোধ করা যায়নি। ডলারের অভাবে তা করা যায়নি।

আমদানির বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না:

ডলারের অভাবে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের বিলও পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ভারতের বহরামপুর ও বাংলাদেশের ভেড়ামারা সঞ্চালন লাইন দিয়ে ১ হাজার মেগাওয়াট এবং ত্রিপুরার সূর্যমনি থেকে কুমিল্লা সঞ্চালন লাইন দিয়ে আসছে ১৬০ মেগাওয়াট। মোট ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়।

পিডিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এনপিটিসি বিদ্যুৎ ভেপার নিগম লিমিটেড (এনভিভিএন) থেকে আমদানি করা হয় ২৫০ মেগাওয়াট। চুক্তি অনুযায়ী এই পরিমাণ বিদ্যুৎ আমদানির বিপরীতে মাসে গড়ে ৬ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়। বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসির মাধ্যমে এই বিল পরিশোধ করা হয়। গত সাত মাস এই বিল পরিশোধ না করায় মোট বকেয়া পড়েছে ৪২ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া ভারতের সরকারি আরও দুটি সরকারি কেন্দ্র থেকে যথাক্রমে ৩০০ ও ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়। এই দুই কেন্দ্রের জন্য মাসে গড়ে পরিশোধ করতে হয় ১৪ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার ও ৭ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এ দুই বিল পরিশোধ করার কথা থাকলেও ডলার সংকটের কারণে করতে পারছে না। এর মধ্যে ৩০০ মেগাওয়াটের বিল বকেয়া পড়েছে আট মাস ও ১৬০ মেগাওয়াটের সাত মাস। দুই কেন্দ্রে মোট বকেয়া পড়েছে যথাক্রমে ১১৫ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার ও ৫৪ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া ভারতের বেসরকারি খাত পিটিসি ইন্ডিয়া থেকে ২০০ ও সেম্বকর্প ইন্ডিয়া থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। এই দুই কেন্দ্রের জন্য মাসে গড়ে পরিশোধ করতে হয় ১১ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার ও ১৩ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার। রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে এ দুই বিল পরিশোধ করার কথা। তবে ডলার সংকটে দুটি বিলই ৯ মাস করে বকেয়া পড়েছে। এতে দুই কেন্দ্রে মোট বকেয়া পড়েছে যথাক্রমে ১০১ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলার ও ১২৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার। এর বাইরে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনার সঞ্চালন লাইন ব্যবহারের জন্য দেশটির পাওয়ার গ্রিড করপোরেশনকে মাসে ১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার দিতে হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এ বিল পরিশোধের কথা থাকলেও ডলার সংকটের কারণে সাত মাস ধরে তা বকেয়া পড়েছে। এতে মোট বকেয়া পড়েছে ১০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার।

পরিশোধ করা যাচ্ছে না ঋণের কিস্তি :

ডলার সংকটের কারণে গত ছয় মাস ধরে পাঁচ প্রকল্পের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ। প্রকল্প পাঁচটির মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট ফার্নেস অয়েলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প ও শাহজীবাজার ৩৩০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কিস্তি এইচএসবিসির মাধ্যমে পরিশোধ করার কথা। এ তিন প্রকল্পের মাসিক কিস্তি যথাক্রমে এক মিলিয়ন, সাড়ে তিন মিলিয়ন ও ২ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলার। এতে ছয় মাসে বকেয়া পড়েছে যথাক্রমে ৬ মিলিয়ন, ২১ মিলিয়ন ও ১৬ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার।

পিডিবির অন্য দুই প্রকল্প হলো বড়পুকুরিয়া ২৭৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও ঘোড়াশাল ৩৬৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ। এ দুই প্রকল্পের মাসিক কিস্তি আড়াই মিলিয়ন ডলার করে মোট পাঁচ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বড়পুকুরিয়ার কিস্তি সোনালী ব্যাংক ও ঘোড়াশালের কিস্তি রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করার কথা। তবে ডলার সংকটে এ দুই প্রকল্পে কিস্তি বকেয়া পড়েছে ১৫ মিলিয়ন করে মোট ৩০ মিলিয়ন ডলার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শালিকে কোপাল দুলাভাই 

৯ মাসেই রির্জাভ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি

বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

চাঁদপুরে ২ শ্রমিককে ইট ভাটায় আটকে রাখার অভিযোগ

অপরাধী শনাক্ত করবে সিসি ক্যামেরা

ই-সিগারেট / নতুন মোড়কে পুরনো সর্বনাশ

নন্দীগ্রামে প্রেসক্লাবের তুহিন সভাপতি, হানিফ সম্পাদক

মসজিদে নামাজের সময় এসি বিস্ফোরণ

সপ্তাহের ব্যবধানে একই এলাকায় আবারও খুন

বদরের শিক্ষায় ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে : সেলিম উদ্দিন

১০

মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপ

১১

‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন’

১২

‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারের যে প্রমাণ দিল ইউনূস সেন্টার

১৩

মেহেদির রং শুকানোর আগে প্রাণ গেল যুবকের

১৪

আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি (২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার)

১৫

পশ্চিমাদের যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ভূপাতিত করার হুমকি পুতিনের

১৬

হাজার কোটি টাকার মালিক বাবা, কিছুই জানে না ছেলে

১৭

প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনে নৈরাজ্য-নিরাপত্তাহীনতা বাড়বে : টিআইবি

১৮

শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ

১৯

ড. হাফিজের লেখা ‘আমরা মুক্তি সেনা’ 

২০
*/ ?>
X