রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে উদ্ধার করা বিদেশি দুটি পিস্তল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসেছিল। অস্ত্র দুটি ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, কক্সবাজার-ঢাকা-ফরিদপুর চক্রের মাদক কারবারিদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চলছে। এ দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রস্তুতিতে ছিল একটি গ্রুপ। সে কারণেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়।
গত সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মাদক কারবারি রতন খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) সদস্যরা। তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
ডিএনসি কর্মকর্তারা বলছেন, রতন খন্দকার ফরিদপুরের চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার বাড়ি ফরিদপুরের সদর উপজেলার হাড়োকান্দি গ্রামে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদক কারবারিদের কাছ থেকে এই অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন। ইয়াবা কারবার নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এই অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোর (দক্ষিণ) সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বলেন, রতন খন্দকারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে।
ডিএনসি সূত্র জানায়, রতন খন্দকার খুবই ধূর্ত। বিভিন্ন সময় তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যেতেন। তবে গত সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। রতনের কাছে পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা থাকার তথ্য থাকলেও অভিযানে তা অবশ্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ইয়াবার চালানটি আগেই সরিয়ে ফেলেছে।
সূত্রটি জানায়, গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ফরিদপুরে পাচারের সময় একটি কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় ফরিদপুরের মাদক কারবারি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ইয়াবা ফরিদপুর ও আশপাশের বিভিন্ন জেলার মাদক ডিলারদের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। ইয়াবার ওই বড় চালানের সঙ্গে একই এলাকায় আরেক মাদককারবারি দুটি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, তাও যাচাই করা হচ্ছে।