আতঙ্কে গ্রাহকরা, জরুরি ঋণ নিচ্ছে সুইস ব্যাংক

আতঙ্কে গ্রাহকরা, জরুরি ঋণ নিচ্ছে সুইস ব্যাংক

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ দুই ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকের পতন দেখেছে বিশ্ব। মার্কিন ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক ধস এটি। মাত্র তিন দিনের মাথায় দুই জায়ান্টের পতনের পর সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংক নিয়েও গ্রাহকদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে বিনিয়োগ সংকট। কমেছে শেয়ারের দামও। তাই সংকট মোকাবিলা আর গ্রাহকদের হারানো আস্থা ফেরাতে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্রেডিট সুইস ব্যাংক।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারল্য বৃদ্ধি ও গ্রাহকদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করছে ব্যাংকটি। সে কারণেই গতকাল দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৫০ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক (প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা) ঋণ চেয়েছে।

বেশ কয়েকদিন থেকেই বিনিয়োগ সংকটে ভুগছিল ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। এর মধ্যেই গত শুক্রবার বন্ধ হয়ে যায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। অনেকটা সেই আতঙ্কের জেরেই সোমবার বন্ধ হয় সিগনেচার ব্যাংক। একই আতঙ্কে ক্রেডিট সুইচের গ্রাহকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

ক্রেডিট সুইসের ইতিহাসে শেয়ারের দরের সবচেয়ে বড় পতনের ঘটনা ঘটে গত বুধবার। বৃহত্তম অংশীদার সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক আর তাদের শেয়ার কিনবে না বলে ঘোষণা দেওয়ার পর গ্রাহকদের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়ে ব্যাংকটির শেয়ারের দামে। পরে ওইদিন মধ্যরাতে ঋণের ঘোষণা দেওয়ার কিছু পর শেয়ারের দাম কিছুটা বাড়ে।

ক্রেডিট সুইস বলেছে, সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ৫০ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক (৫৪ বিলিয়ন ডলার) পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার একটি বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত জামানতের বিপরীতে ক্রেডিট সুইসকে তারল্য সরবরাহের নিশ্চয়তাও দিয়েছে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক।

এদিকে, ক্রেডিস সুইস ব্যাংক সংকটের মুখোমুখি হওয়ায় অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের আক্রমণাত্মক সুদের হার বৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হবে কি না, তা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে নীতিনির্ধারকদের মতে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের চেয়ে আলাদা। ব্যাংকগুলোর এখন ভালো পুঁজি ও তারল্য রয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com