
গ্যাসের সমস্যা যেখানে বেশি, সেখানে ভোলার গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংকটও দূর হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড ও ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসির মধ্যে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
চুক্তির আওতায় ভোলার উদ্বৃত্ত ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট (দৈনিক) গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহন করে তিতাস গ্যাসের আওতাধীন এলাকায় সরবরাহ করা হবে। ইন্ট্রাকো প্রতি ঘনমিটার ১৭ টাকা দরে কিনে ৪৭.৬০ টাকা দরে বিক্রি করবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সমকালীন সমস্যাকে সমাধান করে এগিয়ে যাওয়াই সরকারের বড় লক্ষ্য। এটি যদি কনসালট্যান্ট নিয়োগ করতাম, তারা অনেকদিন সময় লাগাত। কিন্তু ইন্ট্রাকো দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে পেরেছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভোলা এলাকায় বিশাল সম্ভাবনা তৈরি
হয়েছে। সেখানে ৩ টিসিএফের কাছাকাছি গ্যাসের মজুত পাওয়া গেছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, গ্যাস সিএনজি আকারে আনার বিষয়টি সরকারি সিদ্ধান্ত। ঢাকার আশপাশ ও টাঙ্গাইল এলাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্বল্পচাপ সমস্যায় ভুগছে। যেখানে স্বল্পচাপ বিরাজ করছে, সেখানে দেওয়া হবে এই গ্যাস।
সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোলা গ্যাস ফিল্ডে দৈনিক ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। সেখানে সব গ্রাহক মিলে চাহিদা রয়েছে ৯২.৩২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। গ্রাহক না থাকায় ২৭.৬৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উদ্বৃত্ত থাকছে।
অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আলী আজম, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল খালেক মল্লিক, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসির এমডি মোহাম্মদ রিয়াদ আলী।