সাউথ আফ্রিকার কেপটাউনে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসন্তানসহ পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবার বাড়ি ফেনীতে। এর মধ্যে জেলার দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার চারজন ও সদর উপজেলার একজন।
নিহতরা হলেন ইসমাইল হোসেন, রাজু আহমেদ, মো. মোস্তফা কামাল, আবুল হোসেন ও শিশু নাজিম হোসেন। নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তাদের আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে ইসমাইল হোসেনের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিরলী গ্রামে। তিনি আব্বাস বেপারি বাড়ির শরীয়ত উল্লার ছেলে। নিহত ইসমাইলের ভাই মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, সাউথ আফ্রিকার আবদিন থেকে কেপটাউনের ফ্রান্স অ্যাম্বাসির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন ইসমাইলসহ সাতজন প্রবাসী। পথে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার দিকে একটি চলন্ত লরির নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত রাজু আহমেদ ও মোস্তফা কামালের বাড়ি দাগনভূঞা উপজেলায়। নিহত রাজু আহমেদের বাড়ি দাগনভূঞার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. মিলন। মোস্তফা কামাল একই উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের তমিজ উদ্দিন ভূঞা বাড়ির দক্ষিণ নেয়াজপুর গ্রামের সিরাজ উল্লাহের ছেলে।
অন্যদিকে নিহত বাকি দুজন আবুল হোসেন ও নাজিম হোসেন সম্পর্কে বাবা-ছেলে। তারা জেলার সোনাগাজী উপজেলার দক্ষিণ চর মজলিশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাদের বাড়ি ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। আবুল হোসেন আবদুল হাই মেম্বার বাড়ির জামাল উদ্দিনের ছেলে।
জামাল উদ্দিন জানান, তার ছেলে ও নাতি সাউথ আফ্রিকায় বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
চর মজলিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন জানান, নিহত আবুল হোসেন সাউথ আফ্রিকায় বিয়ে করেছেন। তার সন্তান নাজিম হোসেন।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান জানান, সাউথ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ফেনীর পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। নিহতদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে পুলিশ।
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান সড়ক দুর্ঘটনায় ফেনীর পাঁচজন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার রাতেই তিনি নিহতদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।