
পিরোজপুরের নাজিরপুরে চার মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন এক গৃহবধূ। এরপর এ বিষয়ে মামলা হয়; কিন্তু চার মাস পার হলেও তার হদিস মেলেনি। হঠাৎ গত রোববার ওই গৃহবধূর বাড়ির সামনে একটি চিঠি পান তার পরিবারের লোকজন। এ চিঠির সূত্র ধরে গতকাল সোমবার নাজিরপুরের সাতকাসেমিয়া গ্রামের বালুরমাঠ থেকে একটি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এটি ওই গৃহবধূর কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই গৃহবধূর নাম লামিয়া আক্তার।
তিনি জেলার নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে এবং মো. তরিকুল ইসলামের স্ত্রী।
লামিয়ার খালা সাবিনা খানম জানান, তরিকুলের সঙ্গে লামিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের সম্মতি না নিয়ে তারা বিয়ে করলে তরিকুলের পরিবার তা মেনে নেয়নি। তাই লামিয়া তার বাবার বাড়িতে থাকত। সেই বাড়িতেই তরিকুল প্রায় লামিয়ার কাছে আসত থাকার জন্য। প্রায় সময় তরিকুলের ফোনে আসা মেসেজ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গত ৭ নভেম্বর তরিকুল সন্ধ্যায় লামিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসে এবং পরে চলে যায়। ওই রাতেই লামিয়া নিখোঁজ হয়। পরে থানায় জিডি করা হলে পুলিশ তদন্ত করে। এরপর গত ২২ ডিসেম্বর লামিয়ার মা রাজিয়া বেগম মামলা করেন। দীর্ঘ ৪ মাস পার হলেও লামিয়ার হদিস পায়নি পুলিশ।
লামিয়ার খালা আরও জানান, গত রোববার রাতে লামিয়ার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির দরজার সামনে একটি চিঠি দেখতে পায়। সেখানে লেখা ছিল, সাতকাসেমিয়া এলাকার মোজাহার মোল্লার বাড়ির পশ্চিম পাশের বালুরমাঠে লামিয়ার লাশ লুকানো আছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বালু খুঁড়ে লামিয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির জানান, লামিয়ার মা তার স্বামীর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। পরে পুলিশ নিশ্চিত হয়, তরিকুলই লামিয়াকে নিয়ে গেছে। পরে রোববার রাতের চিরকুটের মাধ্যমে লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে লাশটি গলে যাওয়ার কারণে সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।