
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের দুপক্ষের বিরোধের জেরে প্রাণ হারালেন তুহিন নামের ২২ বছরের এক তরুণ। মঙ্গলবার ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আগের দিন টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পুরাবাজার এলাকা থেকে তুহিনকে তুলে নিয়ে বেধড়ক পেটান বিপক্ষের লোকজন।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কামাল প্রধান জানান, নিহতের শরীরে বেদম মারধরের ও মাথার পেছনে জখমের চিহ্ন ছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। নিহতের বাড়ি সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে। ওই এলাকার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থক ছিলেন তিনি।
তুহিনের স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি কল্পনার এক সমর্থনকারীকে কুপিয়ে এবং গুলি করে আহত করে রিপনের ছোট ভাই। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তুহিনকে তুলে নিয়ে পেটানো হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে মহসিনা হক কল্পনা বলেন, ওই যুবক উগ্র ছিল এবং অস্ত্র নিয়ে চলত। কনসার্টে গিয়ে ঝামেলা করায় কংশপুরা এলাকার কিছু ছেলে তাকে মারধর করে। এখানে পূর্ববিরোধের কিছু নেই। অন্যদিকে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ, তুহিন আমার পক্ষের হওয়ায় কল্পনার লোকজন ওর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। তাই অপর পক্ষের বাবুর সন্ত্রাসীরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে রেখে যায়।
টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি রাজীব খান জানান, রাজনৈতিক পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে মারধরে যুবকের মৃত্যুর খবর শুনেছি। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।