
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা দেশটির রাজনীতিতে একটা মাইলফলক স্থাপন করেছে। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত টানা পাঁচ মাসের যাত্রা রাহুলের জনপ্রিয়তাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নেতাদের অবস্থান কেমন, তা জানতে সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, রাহুলের জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় বেড়েছে। যদিও জনপ্রিয়তার দিক থেকে এখনো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শীর্ষে অবস্থান করছেন। তবে আগের তুলনায় তার জনপ্রিয়তা সামান্য কমেছে। দেশটির
জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও লোক-নীতি কেন্দ্র যৌথভাবে এই জনমত জরিপ চালায়। খবর এনডিটিভি ও ওয়ান ইন্ডিয়ার।
এতে দেখা যায়, জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে মোদির পক্ষে ৪৩ শতাংশ সমর্থন জানায়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রাহুলকে বেছে নিয়েছে ২৭ শতাংশ মানুষ। ২০১৯ সালে মোদির জনপ্রিয়তা ছিল ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৯ সালে রাহুলের জনপ্রিয়তা ছিল ২৪ শতাংশ।
মোদি ও তার দল বিজেপির জন্য ভালো খবর হলো—জরিপে অংশ নেওয়া ৪৩ শতাংশই বলেছেন, তারা চান বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল
ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসুক। তবে ৩৮ শতাংশ এর বিরোধিতা করেছেন। ৪০ শতাংশ বলেছেন, যদি আজ ভোট হয় তাহলে তারা বিজেপিকে ভোট দেবেন। আর ২৯ শতাংশ বলেছেন, তারা কংগ্রেসকে ভোট দেবেন।
২০২৪ সালে মোদিকে কারা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন—জানতে চাইলে ৩৪ শতাংশ রাহুলের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এই কংগ্রেস নেতাকে সমর্থন প্রসঙ্গে ২৬ শতাংশ বলেছেন, তারা সর্বদা তাকে পছন্দ করেন। ১৫ শতাংশ বলেছেন, ভারত জোড়ো যাত্রার পরে রাহুলকে তারা পছন্দ করতে শুরু করেছে। ভারত জোড়ো যাত্রা করে তিনি ভারতবাসীর আরও কাছে এসেছেন। মোদির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ১১ শতাংশ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম বলেছেন। অখিলেশ যাদবের নাম বলছেন ৫ শতাংশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলছেন ৪ শতাংশ মানুষ।
নির্বাচনের আগে মোদির বিজেপি ও রাহুলের কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা কেমন—তা জানতেই গত ১০ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ১৯টি রাজ্যে এ জরিপ চালানো হয়। বিশেষ করে কর্ণাটক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মোদির দল বিজেপির ভরাডুবির পর ভারতের বেশিরভাগ অংশে তার জনপ্রিয়তা যাচাই করতেই জরিপটি হয়।