চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের তিনটি ল্যাপটপ বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। তিনি এগুলো বিক্রি করেন স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির তিন পুলিশ সদস্যের কাছে। তবে ল্যাপটপ কেনার পর পুলিশ সদস্যরা ঠিকমতো টাকা না দেওয়ায় ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে সরকার ১৭টি ল্যাপটপ দিয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক ফেরত দেওয়ার শর্তে ৩টি ল্যাপটপ স্কুল থেকে নিয়ে যান। কয়েক মাস হয়ে গেলেও তিনি নিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ আর ফেরত দেননি। এরই মধ্যে তিনি এগুলো স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের তিন পুলিশ সদস্যের কাছে অল্প দামে বিক্রি করে দেন। কিন্তু তারা ঠিকমতো টাকা দিচ্ছিলেন না। এর মধ্যে ল্যাপটপ কেনা এক কনস্টেবল বদলি হয়ে যান। তখন প্রধান শিক্ষক ক্যাম্পের আইসির কাছে ঘটনা খুলে বলেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক পাপিয়া সুলতানা জানান, হেড স্যার ফিরিয়ে দেবেন বলে মোট তিনটি কম্পিউটার নিয়ে গেছেন। তা আজ পর্যন্ত ফেরত দেননি।
খাসকররা পুলিশ ফাঁড়ির টু-আইসি রোকন উদ্দিন বলেন, হেড স্যার আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন। আমি কদিন আগে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে অবস্থান করা কনস্টেবল রাকিবের কাছে ওই টাকা ফেরত দিয়ে এসেছি। কত টাকার লেনদেন, এটা আমি জানি না।
প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক বলেন, সব মিটমাট হয়ে গেছে। পুলিশ ল্যাপটপ নিয়েছিল। তাদের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে নিয়েছি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।