বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি মিশনে আত্মত্যাগ করা বাংলাদেশের পাঁচ শান্তিরক্ষীকে মরণোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক দিয়ে সম্মানিত করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এসব পদক শান্তিরক্ষীদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।
গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছ থেকে বাংলাদেশের পক্ষে এ মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীদের পক্ষে মেডেল গ্রহণের পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ হলে রক্ষিত শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস সামনে রেখে বাংলাদেশের পাঁচজনসহ বিশ্বের ৩৯ দেশের ১০৩ শান্তিরক্ষীকে তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য এই পদক দেওয়া হয়।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রদূত মুহিত শান্তিরক্ষায় জীবন দানকারী সব শান্তিরক্ষীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অপূরণীয় এই ক্ষতির জন্য তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের যারা এই পদক পেলেন: সুদানের আবেইতে ইউএনএসএফএ মিশনের সার্জেন্ট মোহাম্মদ মনজুর রহমান, দক্ষিণ সুদানের ইউএনএমএসএস মিশনের ল্যান্স করপোরাল কফিল মজুমদার, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের এমএনইউএসসিএ মিশনের সৈনিক মোহাম্মদ শরিফ হোসেন, সৈনিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সৈনিক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন।
বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বিশ্বের ৯টি মিশনে বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার ৫০০ শান্তিরক্ষী এখন দায়িত্ব পালন করছেন। এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় বাংলাদেশের ১৬৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ডের নামে প্রবর্তিত হয়।