
জাতীয় নির্বাচনের আগে মে থেকে জুনের মধ্যেই পাঁচ সিটি করপোরেশনের ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তিন ধাপে ঈদুল আজহার আগেই এসব সিটির ভোট অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশন সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সভা শেষে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বাচন হবে জুনের পরে। কোনটা কখন হবে তখন জানাব। আমরা মে থেকে জুনের মধ্যে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করব। এসএসসি পরীক্ষা শেষে ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে তিন ধাপে পাঁচটি সিটির ভোট করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, পাঁচটি সিটি নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের আগে করতে হবে। আর ঈদুল আজহার আগে এবং এসএসসি পরীক্ষা শেষে এই মধ্যবর্তী সময়ে আমরা এ পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আয়োজন করব। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তপশিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান সচিব।
ইভিএম ইস্যুতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে ইসি:
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) নতুন প্রকল্প প্রস্তাব সরকার স্থগিত রাখার পর এবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে থাকা মেশিনগুলোর ভবিষ্যৎও নির্ভর করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওপর।
ইসি সচিব বলেন, আমাদের ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম আছে। এগুলো মেরামত করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের চেষ্টা করব। মোট কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে চূড়ান্ত করা হবে। ব্যবহারযোগ্য ইভিএম মেশিনের ওপরও সংখ্যা নির্ভর করবে।
ঈদের পর আবুধাবিতে এনআইডি কার্যক্রম শুরু:
এ বছর ঈদুল ফিতরের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে ইসি বলেন, ‘প্রবাসীদের ভোটার করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদের (ঈদুল ফিতর) পর আবুধাবিতে টিম পাঠিয়ে কার্যক্রম শুরু করব। প্রত্যেক ব্যক্তি (যারা এনআইডি চান) দূতাবাসে আউটসোর্সিংয়ের লোকবলের কাছে এসে তথ্য দেবেন। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও অন্যান্য জিনিস নেওয়া হবে। তারপর এখান থেকে স্মার্টকার্ড তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস হয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সেটি নেবেন। সিস্টেমে ওকে হয়ে গেলে তিনি নিজের মোবাইল নম্বরে মেসেজ পাবেন।