ঢাকার ১০ মার্কেট বিক্রি করে টাকা পাচ্ছে না রাজউক

রাজউক।
রাজউক।ছবি : সংগৃহীত

৪০ বছর আগে গুলশান শপিং কমপ্লেক্স মার্কেটটি ৬ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫১৬ টাকায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছে বিক্রি করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। তখন মার্কেটের দখল বুঝেও নেয় সিটি করপোরেশন। এরপর থেকেই মার্কেটের দোকান ভাড়াসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা ভোগ করতে থাকে; কিন্তু মার্কেট কেনার সেই টাকা আর পরিশোধ করেনি সিটি করপোরেশন। শুধু গুলশান শপিং কমপ্লেক্স নয়, ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছে ১০টি মার্কেট বিক্রি করেছে রাজউক। অথচ এখন পর্যন্ত এসব মার্কেটের টাকা বুঝে পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে রাজউকের পাওনা ৩০২ কোটি টাকারও বেশি। এসব টাকা পরিশোধে একাধিকবার চিঠি দিয়েছে রাজউক। তবে টাকা পায়নি। আর টাকা আদায়ে রাজউক থেকে জোরালো কোনো পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি। এসব তথ্য পাওয়া গেছে খোদ রাজউক থেকেই।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৯৮৩ সালে রাজউকের ১০টি মার্কেট সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করতে আবেদন করা হয়। উভয় সংস্থার মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে মার্কেটগুলো বিক্রি করে দেওয়ার পক্ষে একমত পোষণ করে। এরপর ৯টি মার্কেট ২৭ কোটি ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার ২২২ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। মার্কেট ক্রয়ের পর অর্থ পরিশোধ না করলেও সব মার্কেট রাজউকের কাছ থেকে বুঝে নেয় সিটি করপোরেশন। তখন থেকেই এসব মার্কেট থেকে যা আয় হয়, তা ভোগ করতে থাকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ; কিন্তু মার্কেট ক্রয়বাবদ রাজউক যে অর্থ পাওনা, তা পরিশোধ করেনি। বর্তমানে এ টাকা সুদাসলে দাঁড়ায় ৩০২ কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৬ টাকা।

নথিপত্রের তথ্য বলছে, রাজউক যেসব মার্কেট বিক্রি করেছে, তার মধ্যে গুলশান সাউথ মার্কেট ৬ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫১৬ টাকা, গুলশান নর্থ ডিআইটি মার্কেট ৩ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৬৩ টাকা, গুলশান কাঁচাবাজার মার্কেট ৩ কোটি ৩২ লাখ ৪১ হাজার ১১৪ টাকা, কারওয়ান বাজার ১ নম্বর মার্কেট ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭১ হাজার ৭২৯ টাকা, কারওয়ান বাজার ২ নম্বর মার্কেট ১ কোটি ৬০ লাখ ৯৯ হাজার ৭০০ টাকা, ডিআইটি সুপার (সাকুরা) মার্কেট ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭১৩ টাকা, ভিক্টোরিয়া ডিআইটি মার্কেট ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৪৮ টাকা, মিউনিসিপ্যালিটি স্ট্রিট মার্কেট ৩৬ লাখ ৬৯ হাজার ১২১ টাকা, বাদামতলী ঘাট ডিআইটি মার্কেট ৩৯ লাখ ৭ হাজার ৮৭২ টাকা এবং নওয়াব ইউসুফ মার্কেট ৫ কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৭৪৫ টাকায় বিক্রি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে গতকাল বিকেলে রাজউকের মেম্বার (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নূরুল ইসলামকে বলেন, এটি অনেক আগের ঘটনা। টাকা আদায়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, তা জানা নেই। পাওনা টাকা আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com