
নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত ও পদবঞ্চিত নেতাদের মিছিলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আহত আশরাফুল মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ওই মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
জানা যায়, গতকাল বিকেলে নরসিংদীর কাউরিয়া পাড়ার বিএনপির সমাবেশ সফল করতে হোন্ডা মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যাওয়ার পথে জেলখানা মোড়ে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে সাদেকুর রহমান মাথায় ও আশরাফুলের বুকে গুলি লাগে। পরে তাদের ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে সাদেককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গতকাল সকালে হাসপাতালে মারা যান আশরাফুল।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি নেতা জাহিদের হাজীপুরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সেইসঙ্গে তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে সেই আগুন নিযন্ত্রণে আনেন বলে জানান জাহিদ।
গত ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি, মাইনুদ্দিন ভূঁইয়াকে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের (আংশিক) জেলা কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন পদবঞ্চিত সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীরা। এর জেরে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবনে একাধিকবার হামলার ঘটনাও ঘটে।