
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পরিবেশ শুধু দেশে নয়, উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর এবং ভালো। ভোটের দিন এবং ফল ঘোষণা পর্যন্ত এ পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সেখানকার প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, সব বুথে সিসি ক্যামেরা থাকবে। ঢাকায় বসে সিইসিসহ অন্য কমিশনার, কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা তা পর্যবেক্ষণ করবেন। কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী অ্যাকশনে যাব। গাইবান্ধায় তো নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। দরকার পড়লে তার চেয়েও কঠিন অ্যাকশন যাব। নির্বাচনী প্রচারে গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, মূলধারার গণমাধ্যমে এ ধরনের কোনো ভিডিও চোখে পড়েনি। কোনো পত্রিকাতেও আসেনি।
সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনে ৫৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে থাকবে বিজিবির টিম, র্যাব ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। এর পরও ভোটাররা যদি বলে ভয় পাচ্ছি, আন্দাজে তা বলে লাভ নেই। ঘর থেকে বের হয়ে ভোট দিতে যান। কেউ বাধা দিলে জানান। দেখবেন কত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এজেন্টের সই ছাড়া আমরা ফলাফল শিট নেব না। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এজেন্ট না থাকার বিষয়টি সার্টিফাই করতে হবে। এর আগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। তখন প্রার্থীর কাছে এজেন্ট চাওয়া হবে।
২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।