
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানের লাহোরের বাসভবন জামান পার্কে তল্লাশি চালিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশের একটি দল। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তল্লাশি চালানো হয়। লাহোরের একটি সন্ত্রাসবাদ দমন আদালত থেকে জারি করা পরোয়ানার (সার্চ ওয়ারেন্ট) ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। তবে তল্লাশির পর সেখান থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে। অবশ্য, পাঞ্জাব পুলিশের চার সদস্যের প্রতিনিধিদলটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠক করে। তাদের আলোচনার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি। খবর দ্য ডন ও জিও নিউজের।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব পুলিশের চার সদস্যের প্রতিনিধিদলটি শুক্রবার সন্ধ্যায় ইমরান খানের বাসভবন জামান পার্কে উপস্থিত হয়। ঘণ্টাখানেক তল্লাশির পর কিছু না পেয়ে পিটিআই প্রধান ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি। পুলিশের প্রতিনিধিদলে ছিলেন লাহোর কমিশনার মুহাম্মদ আলি রান্ধাওয়া, ডেপুটি কমিশনার রাফিয়া হায়দার, ডিআইজি অপারেশন্স সাদিক দোগার ও এসএসপি অপারেশন্স সোহাইব। ইমরানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতিখান গুমান বলেন, যারা পরোয়ানা নিয়ে জামান পার্কে এসেছিলেন, তারা পুরোপুরি সন্তুষ্ট। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে জামান পার্ক থেকে খালি হাতে ফিরেছে পাঞ্জাব পুলিশ। আমার মনে হয়, তারা বুঝতে পেরেছে এখানে কিছু নেই। তারা শুধু বিস্কুট ও পানি পেয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, আপনাদের সামনে আমরা বাড়ির দরজা খুলেছি। এখন আপনারা তাদের জিজ্ঞেস করুন তারা কী পেয়েছে।
এর আগে পাঞ্জাবের অন্তর্বর্তীকালীন তথ্যমন্ত্রী আমির মীর দাবি করেছিলেন, প্রায় ৩০-৪০ জন ‘সন্ত্রাসী’ ইমরানের বাসভবনে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি রয়টার্সকে বলেন, বাসাটি তল্লাশিতে অংশ নেবে কয়েকশ’ পুলিশ সদস্য। নেতৃত্ব দেবেন শহরের পুলিশ কমিশনার। পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জামান পার্কে তল্লাশির জন্য তারা পরোয়ানা পেয়েছে। পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে তল্লাশি চালানো হবে। থাকবেন নারী কর্মকর্তাও। বিবৃতি অনুসারে, বাসাটির প্রবেশ ও বের হওয়ার পথগুলো পরীক্ষা করা হবে। মূল লক্ষ্য বাসায় লুকিয়ে থাকা ‘সন্ত্রাসীদের’ খুঁজে বের করা।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়েছিল, তল্লাশির সময় মিডিয়ার উপস্থিতি নিয়ে পাঞ্জাব সন্তুষ্ট। বুধবার পাঞ্জাব সরকার দাবি করেছিল, জামান পার্কে লুকিয়ে রয়েছে ৩০-৪০ জন ‘সন্ত্রাসী’। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পিটিআইকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা অতিক্রম হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরে গতকাল শুক্রবার সেই তল্লাশি অভিযান চললেও খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে।