
মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত আরপিও খসড়া সংশোধনী অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভোট বাতিলের ক্ষমতা আগের চেয়ে আরও বাড়ছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা। তিনি বলেন, খসড়ায় নির্বাচন চলাকালীন ভোট বাতিলের ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি। গাইবান্ধার মতো ভোট চলাকালীন নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা আগের মতোই থাকছে। পাশাপাশি গেজেট প্রকাশের আগ পর্যন্ত এক বা একাধিক কেন্দ্রের ফলাফল বাতিলের ক্ষমতা যুক্ত হচ্ছে। তবে পুরোটা বাতিলের ক্ষমতা পেলে আরও ভালো হতো। গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ইসি রাশিদা বলেন, একটি নির্বাচনে তিনটি পর্যায় থাকে। প্রথম, নির্বাচনপূর্ব, দ্বিতীয় নির্বাচন চলাকালীন, তৃতীয় নির্বাচন-পরবর্তী। এই তিনটা ধাপের মধ্যে ৯১-এর (আরপিও-এর) ‘ক’ তে যেটা আছে, সেটা কিন্তু নির্বাচনপূর্ব পর্যন্ত, নির্বাচন চলা পর্যন্ত। ওখানে কমিশনের একটা ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেই ক্ষমতায় কমিশন কোনোরকম অনিয়ম বা কারচুপি যেটাই হোক—কমিশনের নজরে এলে যদি দেখে এরকম, তাহলে নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে। এটা তো আছেই আইনে।
রাশেদা বলেন, বিভ্রান্তি যেটা হয়েছে অনেকে মনে করছেন যে, ৯১(ক)-তে যে ক্ষমতাটা ছিল, ভোট চলাকালীন নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার, যে সুযোগটা সেটা বোধহয় খর্ব হয়েছে, বিষয়টা তা নয়। আমি যতটুকু বুঝি, ওটা তো হবেই না। কেননা, আমরা তো সেটা চাইনি। সেখানে প্রস্তাবনা হলো—৯(ক)-এর সঙ্গে ‘ক (ক)’ বলে আরেকটা উপ-অনুচ্ছেদ যোগ করে দেওয়া। রিটার্নিং অফিসার ফলাফল প্রকাশের পর থেকে গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়টায় অনিয়ম হলে যেন ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই ক্ষমতাটা চাওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধার মতো ভোট বন্ধ করতে পারবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি যতটুকু বুঝি যে, আমরা পারব। কারণ, আমরা ৯১(ক) নিয়ে কোনো প্রস্তাবনাই দিইনি। যেটা প্রস্তাবনায় যায়নি, সেটা তো বাতিল হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না। গাইবান্ধায় আমরা ৯১(ক) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে নির্বাচনটা বন্ধ করেছি। এখন আমরা চাচ্ছি, এক বা একাধিক কেন্দ্র যেখানেই হোক, রিটার্নিং অফিসারের ফলাফল ঘোষণার পর এবং গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত, এই মধ্যবর্তী সময়ে অভিযোগ এলে সেটা যেন তদন্ত করে বন্ধ করতে পারি এবং সেখানে নতুন করে ভোট হবে।