
রাজধানীর বনানীতে পুলিশ চেকপোস্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে আশরাফ উজ জামান রনি (২২) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে। তিনি পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) দক্ষিণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ বলছে, রনি নিজের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল দিয়ে বুকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রেমঘটিত কারণে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বনানী ১১ নম্বর সড়কের শেষ মাথায় চেকপোস্টে ডিউটিরত ছিলেন রনি। সকালে স্বাভাবিকভাবে তিনি ডিউটিতে আসেন। সঙ্গে আরও পুলিশ সদস্য ছিলেন। সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটের দিকে চেকপোস্টের পাশেই বাথরুমে যান তিনি। ভেতরেই নিজের পিস্তল দিয়ে বুকের বাঁপাশে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রনি ‘রনি আহমেদ’ নামে ফেসবুক আইডি চালাতেন। সেটি ঘেঁটে তার সর্বশেষ স্ট্যাটাসে দেখা গেছে, ‘আমার জন্য আমিই দায়ী’ লেখা।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, কনস্টেবল রনির ফেসবুক স্ট্যাটাস ও মোবাইল ফোনের কথোপকথনের তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। তিনি বুধবার রাতে দীর্ঘক্ষণ এক মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রনির বাবা আব্দুল হালিম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘বুধবার রাতেও কথা হয়েছে রনির সঙ্গে। প্রতিদিন দু-একবার করে কথা হতো ছেলের সঙ্গে। কখনো বুঝতে পারিনি, রনি কোনো হতাশায় আছে। পনেরো দিনের ছুটিতে গিয়েছিল বাড়িতে। গত ২০ মে ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে আসে রনি।’
রনির ব্যাচমেট মেহেদি হাসান জানান, তারা ২০২০ সালে একসঙ্গে চাকরিতে যোগ দেন। একসঙ্গেই মিরপুরের পিএমওতে ছিলেন। তিন বছরে একবারও মন খারাপ দেখিনি। ওর মতো ছেলে এমন কাজ করতে পারে, বিশ্বাস হয় না।
স্বজন জানান, ঢাকার ধামরাই উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামে রনির বাড়ি।