ইট-পাথরের এই শহরে অবহেলায় দিন কাটায় পশুপাখিরা। তাদের দেখলেই ছোড়া হয় ঢিল কিংবা গরম পানি। কেউ আবার লাঠি দিয়ে মেরেও বসেন তাদের। পোষা প্রাণীদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, হিসাব সংরক্ষণ ও ভ্যাক্সিনেশন সম্পন্ন করতে বগুড়া শহরে অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমী বিড়াল প্রদর্শনী ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। নিজেদের পালিত বিড়ালদের সেখানে মনের মতো করে সাজিয়ে এনেছেন অনেকে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বগুড়া জেলা পেটস কেয়ার টিমের আয়োজনে প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে প্রায় ২০০ বিড়াল ও কুকুর নিয়ে হাজির হন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রদর্শনীতে দেড় বছর বয়সী ব্রিটিশ লং হেয়ার জাতের একটি বিড়াল নিয়ে এসেছিলেন শিক্ষার্থী নিশাত তাবাসসুম। বললেন, বিড়ালটিকে প্রাণি হিসেবে নয়, তাকে পরিবারের সদস্য হিসেবে লালন-পালন করেন। এর বয়স দেড় বছর। শুরু থেকে যত্ন ও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাকে পালন করে আসছেন তিনি।
প্রদর্শনীতে ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়ল লন্ডন থেকে আমদানি করা কুকুর ‘ গোল্ডেন রেড ট্রিভার’। শিক্ষিকা শ্রাবণী সুলতানা জানালেন, মূলত কুকুরটিকে নিরাপত্তার জন্যই লালন-পালন করছি। দিনের বেশিরভাগ সময়েই তাকে আমার সঙ্গে রাখি। এ প্রদর্শনীতে এসেছি তাকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্য।
এদিকে প্রদর্শনীতে কয়েকজন অংশগ্রহণকারী পোষ্য প্রাণী পালকদের পুরস্কৃত করা হয়। আয়োজক কমিটির সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফটো ও ভিডিও কনটেস্টের জন্য প্রিয় পোষ্যের ছবি চাওয়া হয়। পরে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সেরা তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়।
প্রদর্শনীর আয়োজক মঈনুল হাসান বলেন, বগুড়ায় দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজন করা হয়েছে। মূলত পোষা প্রাণীদের হিসাব সংরক্ষণ ও তাদের ভ্যাক্সিনেশন করাতেই এ আয়োজন করা হয়েছে।
এদিন আলোচনা সভায় মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল মমিন খান। এতে উদ্বোধক ছিলেন বগুড়া জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুলতান মাহমুদ খান রনি।
এ ছাড়াও ছিলেন বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ, রাজাবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ, জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডোনিস বাবু প্রমুখ।