
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বাস করে। ট্যুরিজম, আইটি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও ভারী শিল্পে অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক ও অবকাঠামো প্রতিবন্ধকতার কারণে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। সার্ক চেম্বার অব কমার্স (এসসিসিআই) বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে গত এক দশকে ঝিমিয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলের বাণিজ্য সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সার্কভুক্ত দেশগুলো চেম্বার নেতাদের নিজ নিজ দেশে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন : দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সার্কের গুরুত্ব’ শীর্ষক সম্মেলনে সার্ক চেম্বারের নেতারা এসব কথা বলেন। এফবিসিসিআইর সহযোগিতায় এসসিসিআই সম্মেলনের আয়োজন করে।
মূল প্রবন্ধে ইউএনএসকপের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার উপপ্রধান ড. রঞ্জন সুধেশ রত্ন বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য সম্ভাবনার ৬৭ শতাংশ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কারণ এ অঞ্চলে বাণিজ্য খরচ অনেক বেশি। অবকাঠামো ও অ-শুল্ক বাধা দূর করা গেলে বাণিজ্য বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারের সহসভাপতি সঞ্জয় বসু বলেন, বাণিজ্যে সম্ভাবনা থাকলেও তা কাজে লাগানো সম্ভব নয়। অবকাঠামো ও নীতিগত সমস্যা সমাধানে নিজ নিজ দেশের ব্যবসায়ীদের কাজ করতে হবে।
সার্ক চেম্বারের সহসভাপতি (পাকিস্তান) আনজুম নিসার বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাণিজ্য সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। সার্ক চেম্বারের সাবেক সভাপতি ম্যাকি হাশিম বলেন, সার্কের মধ্যে এখন সাবডিভিশন কাজ করে। সার্ককে সফল করতে রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি। এ জন্য ব্যবসায়ীদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। সম্মেলনে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, আফগানিস্তান চেম্বারের সদস্য জানাকা সিদ্দিকী, মালদ্বীপের সাবেক মন্ত্রী মরিয়ম শাকিলা, সার্ক চেম্বারের সহসভাপতি (নেপাল) চান্দি রাজ ধাকাল প্রমুখ।