শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১:৫২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মোবাইল নেটওয়ার্ক পান না কলারোয়ার ৩ গ্রামের মানুষ

মোবাইল নেটওয়ার্ক পান না কলারোয়ার ৩ গ্রামের মানুষ

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দনপুর ইউনিয়নের ৩ গ্রাম—কাদপুর, চান্দুড়িয়া ও গোয়ালপাড়ায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক খুবই দুর্বল। খোলা মাঠে গেলে মোবাইল ফোনে একটু-আধটু নেটওয়ার্কের দেখা মেলে। এরপর ফোনে কথা বলতে বলতে নেটওয়ার্ক চলে যায়।

এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ এই ৩ গ্রামের মানুষ তেমনভাবে পান না। কেননা, শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। এ জনপদের মানুষ পিছিয়ে পড়ছেন প্রতিদিনই। বাড়ছে দেশ-বিদেশের সঙ্গে তাদের দূরত্ব। তারা বঞ্চিত হচ্ছে সব ধরনের ই-সেবা থেকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলারোয়ার সীমান্তবর্তী হিজলদি, বড়ালি, চান্দা, ভাদিয়ালি, কেঁড়াগাছি গ্রামে শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকলেও যা আছে, তাতে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা মোটামুটি কথা বলতে পারেন। কিন্তু কাদপুর, চান্দুড়িয়া ও গোয়ালপাড়া গ্রামের মানুষের মোবাইল ফোনে কথা বলার সেই সুযোগটুকু নেই।

এই এলাকায় বসবাস করা লোকজন জানান, সীমান্তের ঠিক ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডের সবখানেই তাদের দেশের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের কোনো কমতি নেই। এদেশের সীমান্তবর্তী জনপদেও ভারতীয় মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় বলে জানা যায়। এমনকি অবাক হওয়ার মতো তথ্য হলো, চান্দুড়িয়া-কাদপুর থেকে মাত্র দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে গ্রামীণ ও রবির টাওয়ার। এত কাছে টাওয়ার থাকতেও এই জনপদ রয়ে গেছে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের বাইরে।

কলারোয়ার এই ৩ গ্রামের মধ্যে চান্দুড়িয়া একটি অতি প্রাচীন বাজার। বাজারে এখন মোবাইল ফোন বিক্রির অনেকগুলো দোকান রয়েছে। সেখানে অনেক প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। কেউ কেউ তারবাহিত ওয়াইফাই সংযোগ নিতে শুরু করলেও তা মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের বিকল্প হতে পারে না।

চান্দুড়িয়ায় রয়েছে কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামের একটি বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে রয়েছে একটি মানসম্মত বিজ্ঞানাগার। সেখানে রয়েছে পর্যাপ্ত কম্পিউটার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। রয়েছে অনেক কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থী। রয়েছে একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুল। পাশের গ্রাম কাদপুরেও রয়েছে আর একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুল। চান্দুড়িয়া বাজারে রয়েছে ‘টিএমসি’ নামের একটি সমবায় ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এই সব শিক্ষা, সামাজিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

চান্দুড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী রোকুনুজ্জামান কাজল, ডা. ফারুক হোসেন, আমানুর রহমান, সাদউল্লাহ, রুহুল কুদ্দুস মোল্লা, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রধান শিক্ষক হাসান আবু তাহের, মাস্টার আব্দুস সবুর, সাংবাদিক আতাউর রহমান, জাহিদ হাসান টিপুসহ চান্দুড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, নেটওয়ার্ক না থাকায় তারা যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৫ হাজার টিকিটের জন্য ঘণ্টায় ২ কোটিবার চেষ্টা

চাচার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ভাতিজা নিহত

১৫৯ জনবল নিয়োগ দেবে রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়

হোয়াইটওয়াশ বাঁচানোর মিশন টাইগারদের

অলীক স্বপ্ন 

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর পাবিপ্রবিতে পানির ফিল্টার স্থাপন

সোশ্যাল মিডিয়ার চাপে লিটন : কোচ

জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ

ডামি নির্বাচনের সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে : রিজভী

১০

কাশ্মীরে যাত্রীবাহী গাড়ি গভীর খাদে, নিহত ১০

১১

যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে খেলবেন সাবেক কিউই তারকা

১২

রাজার আমন্ত্রণে ভুটানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

১৩

নেতাকে ফাঁসাতে গিয়ে আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার

১৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / স্বাধীনতা দিবসের নামে চাঁদা দাবি করায় ইউএনওর ২ স্টাফ বদলি

১৫

স্কুটারে বসেই অফিস করছেন তিনি, ভিডিও ভাইরাল

১৬

মোস্তাফিজদের ম্যাচ দেখায় নতুন রেকর্ড

১৭

এখনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে ফিলিস্তিনিরা

১৮

‘বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে জিয়াউর রহমানও লজ্জা পেয়ে যেতেন’

১৯

কুমিল্লায় গত ১১ মাসে শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার ৪৬৭

২০
*/ ?>
X